তীব্র দহনে এসির বিকল্প হিসেবে গাড়িতে গোবর লেপলেন ট্যাক্সি মালিক
বহ্নিমান বৈশাখের তীব্র দহনে প্রাণ ওষ্ঠাগত সকলের। দিনের বেলা বাসে-অটোয় উঠলে ঘর্মাক্ত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। এসি গাড়ি হলে তবেই একমাত্র রক্ষা। কিন্তু গাড়িতেও যদি বাতানুকূল যন্ত্র না থাকে,তাহলে?এক অভিনব উপায় বের করেছেন সুভাষ দাস নামে এক গাড়ি-মালিক।এসির বিকল্প হিসেবে গাড়িতে গোবর লেপে দিয়েছেন তিনি।জ্বালাপোড়া গরমে গাড়ির জ্বালানি খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ভাড়ার গাড়ির অনেক মালিকই খরচ কমাতে এসি চালাচ্ছেন না। তাতেও আবার অন্য সমস্যা। এসি না থাকলে যাত্রীরা গাড়িতে উঠতে চাইছেন না। তাই হুগলির হিন্দমোটর নন্দনকানন এলাকার এক গাড়ি- মালিক এসির বিকল্প হিসেবে নিজের গাড়িটাই গোবরে লেপে দিয়েছেন (ছবি)।গাড়ি ঠান্ডা রাখার এমন অভিনব পদ্ধতি দেখে এলাকার লোকজনও স্তম্ভিত।গোবর লেপা গাড়ি নিয়েই রাস্তায় ছুটছেন সুভাষ দাস। অনেকে তার গাড়ির এমন অবতার দেখে হাসাহাসি করছেন। কিন্তু কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই সুভাষবাবুর।কেন এমন পন্থা? সুভাষ বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে অনেক সময় উঠোন গোবর দিয়ে নিকানো হয়। এতে বাড়ির আশপাশ অনেকটাই ঠান্ডা থাকে। তাই পরীক্ষামূলকভাবে আমি গাড়িতে গোবর লেপে দিয়েছি। হাতেনাতে ফলও পেয়েছি।’ সুভাষ জানান, প্রচণ্ড গরমে এসি না চালালে অনেক প্যাসেঞ্জারই গাড়িতে উঠতে চাইছেন না। তেলের খরচ এতটাই বেড়েছে যে এসি চালালে খরচ পোষানো যাচ্ছে না। গোবর অনেকটা এসির কাজও করছে। ভাড়াও মিলছে। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা পাপ্পু সিং রসিকতা করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যেখানে আমাদের দেশের নেতা-নেত্রীরা বলছেন গরুর দুধে,গোমূত্রে সোনা
পাওয়া যাচ্ছে সেখানে গোবরে
এসির উপাদান থাকাও অসম্ভব নয়।’ হিন্দমোটর এলাকার কয়েকজন গাড়ির চালক জানান, গাড়ির বডিতে যদি গোবর লাগানো হয়, তাতে ক্ষতি খুব একটা হয় না। কিন্তু এটাও খেয়াল রাখতে হবে গোবর যাতে কোনওভাবে ইঞ্জিনে না চলে যায়। তবে প্রশ্ন উঠেছে,গোবর লাগানো গাড়িতে ‘যাত্রীরা উঠবেন কি না। স্থানীয় মানুষ জানান, এসি না চালিয়ে যদি কম খরচে প্যাসেঞ্জার তার আরাম পায় তবে নিশ্চয়ই উঠবে। তবে আপাতত সুভাষের দেখাদেখি তার কয়েকজন বন্ধুও খরচ কমানোর জন্য গাড়িতে গোবর লাগাবেন বলে ঠিক করেছেন।