কমিশনের শাস্তির কোপে এক টিসিএস আধিকারিক

 কমিশনের শাস্তির কোপে এক টিসিএস আধিকারিক
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || অনৈতিক এবং অনভিপ্রেত কাজের জন্য খেসারত দিতে হলো রাজ্য প্রশাসনের এক টিসিএস আধিকারিককে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের শাস্তির মুখে হয়েছে ওই টিসিএস আধিকারিককে। তিনি তেলিয়ামুড়ার তৎকালীন বিডিও কৃশানু দে।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ,বিডিও থাকাকালীন সময়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নের কাজ করিয়ে ঠিকাদারকে অর্থ প্রদান করেননি। কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে ঠিকাদারকে তার পাওনা ১ লক্ষ ৩১ হাজার ২০০ টাকা মিটিয়ে দিতে। নতুবা ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে সাত শতাংশ সুদ প্রদান করতে হবে। একই সাথে টিসিএস আধিকারিক কৃশানু দে-র বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও নির্দেশ দিয়েছে।গত ২৪ এপ্রিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই রায় দিয়েছে।উল্লেখ্য, কৃশানু দে তেলিয়ামুড়া ব্লকের বিডিও থাকাকালীন বিকাশ চন্দ নামে আগরতলা এডি নগরের গ্রীনভ্যালি নার্সারির মালিককে দিয়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নের কাজ করিয়েছেন।কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ঠিকাদার বিকাশ চন্দ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১,৩১,২০০ টাকার বিল জমা দেন বিডিও কৃশানু দে-র কাছে।কিন্তু দীর্ঘ টালবাহানা করেও বিডিও সেই বিল মিটিয়ে দেয়নি।প্রায় বছর ধরে নানা টালবাহানার পর বাধ্য হয়ে বিকাশ চন্দ গত ২২ জুন ২০২২ইং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে বিস্তারিত জানিয়ে বিডিও কৃশানু দে-র বিরুদ্ধে
লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে কমিশন গত ২৮ জুন ২০২২ইং বিডিও কৃশানু দে-কে নোটিশ ইস্যু করে।একই সাথে খোয়াই জেলাশাসককেও নোটিশ পাঠিয়ে এই ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলে। এর মধ্যে কৃশানু দে-কে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার নোটিশ ইস্যু করা হলেও তিনি নানা অজুহাতে কমিশনের সামনে হাজির হননি।এর মধ্যে খোয়াই জেলাশাসকের তদন্ত রিপোর্টও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। জেলাশাসকের রিপোর্ট পেয়ে কৃশানু দে-কে কমিশন কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করে তিন সপ্তাহের সময় দিয়ে। কমিশনের তরফেও অভিযোগের তদন্ত করা হয় এবং সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কৃশানু দে বিভিন্ন নির্দেশ এড়িয়ে গেছে। এরপরই কমিশন গত ২৪ এপ্রিল চূড়ান্ত রায় দেয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাওনা টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। নতুবা ২০১৭ থেকে সাত শতাংশ অতিরিক্ত সুদ গুনতে হবে।সেই সাথে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.