বাড়বে রাজস্ব ও কর্মসংস্থানের সুযোগ:-সুশান্ত

 বাড়বে রাজস্ব ও কর্মসংস্থানের সুযোগ:-সুশান্ত
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা ও পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর।বর্তমান পর্যটন কেন্দ্রগুলির আধুনিকীকরণের পাশাপাশি আরও নতুন নতুন এলাকাকে চিহ্নিত করে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগও নিয়েছে পর্যটন দপ্তর।পর্যটন শিল্পের বিকাশে রাজ্যবাসীর যেমন অবসর বিনোদনের সুযোগ বাড়বে,তেমনি রাজ্যে দেশ-বিদেশ থেকে ভ্রমণ-পিপাসুদের আগমনও বাড়বে।এতে একদিকে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।বাড়বে রাজস্বও।সোমবার রাজ্যের পর্যটন শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও বিকাশ ইস্যুতে আয়োজিত এক বৈঠকে এভাবে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।সোমবার রাজধানী আগরতলার গীতাঞ্জলি স্টেট টুরিস্ট গেস্ট হাউসে বিভিন্ন টুর অপারেটর ও হোটেল,রিসর্ট ব্যবসা ও পর্যটনশিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। দেশ বিদেশের মানুষের কাছে ত্রিপুরার আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলোকে কীভাবে তুলে ধরা যায়,বা আরও আকর্ষিত করে তোলা যায় সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে।বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,সকলের উদ্দেশ্য একটাই,ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পের বিকাশ।কারণ,এই শিল্পের বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কর্মসংস্থান,জীবন জীবিকা রাজস্ব।রাজ্যে আগত পর্যটকদের কাঙিক্ষত সেবা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন টুর অপারেটর ও হোটেল, রিসর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্র একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টুর অপারেটররা অন্তর্মুখী ও বিদেশগামী টুর পরিচালনা করে থাকেন।এ সব টুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পর্যটন দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে সঠিক পরিষেবা প্রদানের জন্য পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকদের কাজ করে যেতে হবে। বিভিন্ন টুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সঠিক মনিটরিং না থাকলে অনেস সময় পর্যটকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন।যেটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। পর্যটনমন্ত্রী বলেন,রাজ্যে পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে এবং পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ট্যুর অপারেটর ও টুর গাইড সহ হোটেল,রিসর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী বলেন, রাজ্যে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য দপ্তর নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।রাজ্যে আগত পর্যটকদের স্থানীয়ভাবে আরও কম খরচে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে।এখন ইকো টুরিজমকে দপ্তর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রয়োজন প্রকৃতিকে ঠিক রেখে পর্যটককে আকৃষ্ট করতে আরও নানা ইভেন্টভিত্তিক পর্যটনের ব্যবস্থা করা।এখন প্রয়োজন ব্র্যাণ্ডিং।তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের উদ্যোগ পর্যটন দপ্তর গ্রহণ করছে।পর্যটকরা যদি প্রথমে বিমানবন্দর-রেলস্টেশন-চেকপোস্টে নেমেই নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন, তাহলে কীভাবে হবে?এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা।পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে প্রয়োজন যাতায়াতের সুব্যবস্থা, আতিথেয়তার সুবন্দোবস্ত, পর্যটকদের বিভিন্ন জায়গায় থাকার জন্য অনুমতি পাওয়ার সহজলভ্য ব্যবস্থা করতে হবে। বৈঠকে স্বাগত ভাষণ রাখেন ত্রিপুরা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড-এর ম্যানেজিংডাইরেক্টর তপন কুমার দাস।বৈঠকে বিভিন্ন টুর অপারেটর,হোটেল,রিসর্ট ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা আলোচনায় তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তোলে ধরেন। বৈঠকে পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.