কার হাতে কর্ণাটক

 কার হাতে কর্ণাটক
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

হাইভোল্টেজ কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সরব প্রচার সোমবার বিকাল চারটায় শেষ হয়ে গেছে।২২৪ আসনের বিধানসভার ভোট আগামী ১০ মে।সোমবার বিকেল থেকেই ভোট কর্মীদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।বিজেপি,কংগ্রেস, জেডিএস মূলত ত্রিমুখী লড়াই ঘিরে এবার বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে।গোটা দেশের নজর এখন কর্ণাটকে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের ভোট শাসক বিরোধী সব দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।২২৪ আসনের কর্ণাটকে যারাই সরকার গড়বে, ২৪-এর লোকসভায় সেই দল বাড়তি অক্সিজেন পাবে।এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।সেইদিকে লক্ষ্য রেখে প্রত্যাবর্তন ও পরিবর্তনের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছে সব দলই। প্রধানমন্ত্রী মোদি গত কদিন ধরে কর্ণাটকের বিভিন্ন প্রান্তে ঝড়ো প্রচার করেছেন।বলতে গেলে একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন।যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।শেষ বেলায় প্রচারে হাওয়া তুলেছে কংগ্রেসও।রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছাড়াও, প্রচার নেমেছিলেন সোনিয়া গান্ধীও। জেডি এসওবসে ছিলো না।শেষ বেলায় প্রচারে নেমেছেন দলের বর্ষীয়ান নেতা এইচডি দেবগৌড়া, এইচ ডি কুমারস্বামীরা।ত্রিমুখী লড়াইয়ে কর্ণাটক এবার কার হাতে যাবে ?এই প্রশ্নেই এখন তোলপাড় হচ্ছে জাতীয় রাজনীতি। কর্ণাটকে কি এবার পালাবদল হবে? নাকি বিজেপির হাতেই থাকবে ক্ষমতা? এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে চুলাচেরা বিশ্লেষণ চলছে।বিভিন্ন জনমত সমীক্ষক সংস্থা যে পূর্বাভাষ দিয়েছে,তাতে কংগ্রেসের পাল্লা ভারী বলে দাবি করা হয়েছে।২২৪ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা বর্তমানে ১১৯।কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৭৫টি আসন এবং জেডিএসের হাতে রয়েছে ২৮টি আসন। দুটি আসন শূন্য। ম্যাজিক ফিগার ১১৩।বেশির ভাগ সমীক্ষায় ইঙ্গিত ১১০ থেকে ১২০ টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস।৭০ থেকে ৮৫ আসন নিয়ে বিজেপি থাকবে দ্বিতীয় আসনে।জেডি এসের ঝুলিতে যেতে পারে ২০ থেকে ২৯টি আসন।অন্যান্য দল পেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন। সমীক্ষায় অন্য ইঙ্গিতও আছে। তাদের দাবি, বিজেপির ঘরে আসবে ১০৩ থেকে ১১৫ আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৭৯ থেকে ৯১টি আসন।জেডিএসের ঝুলিতে যেতে পারে ২৬ থেকে ৩৬টি আসন। অন্যান্য ১ থেকে ৩ আসন। ফলে হিসাব স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটকে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসে বিজেপি। ২২৪ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ৮০ এবং জেডিএস পায় ৩৭টি আসন। কিন্তু সরকার গঠন করে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট।মুখ্যমন্ত্রী হন তৃতীয় স্থানে থাকা জেডিএস দলের এইচডি কুমারস্বামী।সেই জোট সরকার এক বছরও টিকেনি।জোট সরকারের ভাঙন ধরিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি।রাজনৈতিক মহলের দাবি, কর্ণাটক নিয়ে বিজেপি এবার আগে থেকেই চিন্তিত। দলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ এতটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল যে ভোটের আগেই দল অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায়। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে অনেকেই দল ছেড়ে কংগ্রেস দলে শামিল হয়।সেই সাথে দলের মধ্যে গোষ্ঠী বিবাদ, শীর্ষ নেতাদের কয়েকজনের ভুল সিদ্ধান্ত দলকে আরও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।বেগতিক বুঝে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্ণাটক জয়ে ময়দানে নামেন। শেষ পর্যন্ত মোদি ম্যাজিক কতটা কাজ করলো? তা জানতে ১৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা তো করতেই হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.