রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
কৈলাসহরে হোমিওপ্যাথিক কলেজ স্থাপনের দাবি
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || অবিভক্ত উত্তর ত্রিপুরার জেলা সদর যখন কৈলাসহর ছিল,তখন বর্তমান রাজীব গান্ধী মহকুমা হাসপাতাল জেলা হাসপাতাল হিসাবে ব্যস্ত থাকতো। এই জেলা হাসপাতাল থেকে সমগ্র কৈলাসহর চণ্ডিপুর, কুমারঘাট,ফটিকরায়, ধর্মনগর, কাঞ্চনপুর মহকুমার জনগণ পরিষেবা নিতেন।তখন ওই হাসপাতালকে কেন্দ্র করে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ সারাদিন চলতো। বিগত বামফ্রন্ট আমলে অবিভক্ত উত্তর ত্রিপুরাকে ভেঙে দেওয়া হয় এবং বর্তমান জেলার নাম হয় ঊনকোটি জেলা।সেই সময়েই রাতের আঁধারে,একপ্রকার জোর করেই কৈলাসহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে ভগবাননগরে জেলা হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। আর এতে বিপদে পড়েন সমগ্র কৈলাসহর, চণ্ডিপুর, কুমারঘাট, ফটিকরায়ের মানুষজন। ২০১৮ তে বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ কৈলাসহরে এসে জনগণের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরে প্রসূতি ও শিশু বিভাগকে ভগবাননগর থেকে শহরের মূলকেন্দ্রে আরজিএম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যে বিগত পাঁচ বছরে মনু নদী দিয়ে প্রচুর জল প্রবাহিত হয়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। আরজিএম মহকুমা হাসপাতাল আছে সেই জরাজীর্ণ অবস্থাতেই।এই মহকুমা হাসপাতালের উল্টো দিকেই আছে জেলা কারাগার। কিছুদিনের মধ্যেই এই জেলা কারাগার এখান থেকে নবনির্মিত স্থানে স্থানান্তরিত হবে।জেলা কারাগারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সরকারের হাতে খালি পড়ে থাকবে। অন্যদিকে,আগরতলায় দুটো মেডিকেল কলেজ আছে এবং একটি ডেন্টাল কলেজের পড়াশোনা শুরু হতে যাচ্ছে। ত্রিপুরা সরকার একটি আয়ুর্বেদিক কলেজ এবং একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।এক্ষেত্রে আরজিএম মহকুমা হাসপাতাল এবং খালি হতে চলা জেলা কারাগারের স্থান নিয়ে একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা সম্ভব।অবশ্য বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী পিপিপি মডেলে আরজিএম মহকুমা হাসপাতালকে কেন্দ্র করে একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দুটো বেসরকারী সংস্থা সেই সময় যোগাযোগ করেছিল।যাই হোক, পটপরিবর্তনে বর্তমান সরকারের কাছে রাজীব গান্ধী মহকুমা মহকুমা হাসপাতালকে কেন্দ্র করে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার জন্য এই শহর থেকে তথা এই জেলা থেকে জোরদার দাবি উঠছে।জরাজীর্ণ আরজিএম মহকুমা হাসপাতালকে কেন্দ্র হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠলে কৈলাসহরের মূল অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, শ্রীরামপুর, চণ্ডিপুর, ফটিকরায় সহ পাশের দুটো জেলার জনগণ যে উপকৃত হবেন তা বলাবাহুল্য। অন্যদিকে, উন্নয় মানেই যে শুধু আগরতলা নয়,উন্নয়ন মানে প্রতিটি জেলার উন্নয়ন,এই বাতাও রাজ্যবাসীর কাছে পৌছবে এই হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হলে।ইইতিমধ্যে হোমিওপ্যাথি কলেজ কৈলাসহরে স্থাপন করার লক্ষ্যে সারা কৈলাসহরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও সংস্থা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।