একচল্লিশের নারীর কোল আলো করে ৪৪ সন্তান, গিনেস বুকে ‘মামা উগান্ডা’
মাত্র ৪১ বয়সেই পূর্ব আফ্রিকার উগান্ডার বাসিন্দা মরিয়ম নাবাতাঞ্জির কোল আলো করে এসেছে ৪৪ সন্তান। সুবিশাল সংসারের ভার বহন করতে না পেরে স্ত্রীকে ছেড়ে চলে গেছেন স্বামী।একা হাতেই ৪৪ সন্তানকে মানুষ করছেন মরিয়ম।পৃথিবীর সবচেয়ে উর্বর মহিলা’ তকমা পেয়ে গিনেস বুকে নাম উঠেছে তার।তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ দুনিয়ায় তিনি ‘মামা উগান্ডা’ নামেই বেশি পরিচিত।তবে একই সঙ্গে তাকে নিয়ে চর্চা হয়েছে, একজন নারীর পক্ষে এক জীবনে এত সন্তান কী প্রসব করা সম্ভব?চিকিৎসকরা বলেছেন, মরিয়মের এত সন্তান হয়েছে তার শরীরে হাইপার ওভ্যুলেশনের কারণে। কোনও নারীর শরীরে বিশালাকায় ডিম্বাশয় থাকলে এই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। তবে তা খুবই বিরল। এমনকী যাদের এই ধরনের বিশালাকার ডিম্বাশয় থাকে তাদের দেহে কোনও জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধও কাজ করে না। শরীরের ফার্টিলিটি রেট তথা উর্বর-ক্ষমতা কমানোর জন্যই সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে মরিয়মের ক্ষেত্রে।তবে এই ‘বিপদ’ থেকে ‘মামা উগান্ডা’কে বাঁচাতে, গর্ভধারণ রুখতে শেষ পর্যন্ত তার শরীর থেকে অস্ত্রোপচার করে ইউটেরাস বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।মরিয়মের কোল আলো করে প্রথম সন্তান আসে মাত্র তেরো বছর বয়সে।৩৬ বছর বয়সে তার সন্তানের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪২! বয়স যখন তার চল্লিশ, সন্তানের সংখ্যাটা আরও বেড়ে হয় ৪৪।পাঁচ বার ৪টি সন্তান একসঙ্গে প্রসব করেছেন মরিয়ম। চার বার যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।একসঙ্গে পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন একবার। একটিমাত্র সন্তান প্রসব করেছেন জীবনে একবারই।এমনকী, জন্ম নেওয়ার পরেই মারা গেছে তার ৬টি সন্তান।মরিয়ম জানিয়েছেন, তার স্বামী যখন সংসার ছেড়ে চলে যান, তখন তিনি ছিলেন কপর্দকশূন্য। কারণ তার স্বামী সব টাকা-পয়সা নিয়ে চলে যান। বর্তমানে মরিয়মের ৩৮টি সন্তান বেঁচে। ২০টি ছেলে ও ১৮টি মেয়েকে একক মা হিসাবে বড় করে তুলছেন ‘মামা উগান্ডা’। মরিয়ম বলেন, ১২ বছর বয়সে বাবা-মা আমাকে বিক্রি করে দিয়েছিল। ১৩ বছর বয়সে আমি প্রথম গর্ভবতী হই।’ এমনিতে উগান্ডায় মহিলাদের উর্বরতার হার অনেক বেশি। বিশ্বব্যাংকের মতে, উগান্ডায় গড়ে ৫.৬ সন্তানের মা হন এক জন নারী, সেখানে সারা বিশ্বে এই হার ২.৪।