রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
এলেন না মধ্যস্থতাকারী প্রদ্যোতের ঘোষণা ঘিরে প্রশ্ন
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোরের দাবি ও ঘোষণা মোতাবেক ১২ মে শুক্রবারও রাজ্যে এলেন না মধ্যস্থতাকারী।এ নিয়ে দুবার তার আসার দিন তারিখ ঘোষণা করা হলেও, তিনি রাজ্যে আসেননি। স্বাভাবিকভাবে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোরের দাবি ও ঘোষণা ঘিরে জনমনে,বিশেষ করে রাজ্যের জনজাতিদের মধ্যে বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে,প্রদ্যোত কিশোর কীসের উপর ভিত্তি করে,অথবা কাদের উপর ভিত্তি করে বারবার মধ্যস্থতাকারী রাজ্যে আসার দিন তারিখ ঘোষণা করছেন?এর আগে বলেছিলেন,তিনি আট মে রাজ্যে আসবেন।শুধু তাই নয়, বলেছিলেন এতোদিন যারা তার সাথে মজা করেছে,নানা ধরনের প্রশ্ন তুলে সমালোচনা করেছিলো,তারা এবার বুঝে যাবে কত ধানে কত চাল-এমন গোছের কথা বার্তা বলেছিলেন। আট মে মধ্যস্থতাকারী রাজ্যে এলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে বলে দাবি করেছিলেন। শেষে দেখা গেল তিনি আট মে আসেননি।না আসার কারণ হিসেবে বলা হলো মণিপুরের অশান্তি।প্রদ্যোত কিশোর নিজেই এ কথা বলেছিলেন।তার সাথে নাকি মধ্যস্থতাকারী এ কে মিশ্রের কথা হয়েছে।মণিপুরের পরিস্থিতি শান্ত হলেই চার-পাঁচ দিনের মধ্যে তিনি আসবেন।রাজ্যবাসীও কারণটা যথাযথ বলে ধরে নিয়েছিল।এরপর গত ১০ মে পুনরায় নিজের সামাজিক মাধ্যমে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর ঘোষণা দিয়ে জানান, মধ্যস্থতাকারী ১২ মে আগরতলা আসবেন। তার এই ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।কিন্তু ১২ মে রাত আটটায় এই খবর লেখা পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেল এমন কেউই আসেননি। কেন আসেননি?এ সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের কাছেও এমন কোনও খবর নেই।স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে খোদ প্রদ্যোত কিশোরের বক্তব্য ঘিরে।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মে দিল্লীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক করে প্রদ্যোত কিশোর পুনরায় বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। সম্ভবত চিকিৎসার কারণেই তিনি বিদেশে গেছেন।কবে দেশে ফিরবেন,এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।তেমনি মধ্যস্থতাকারীও কবে আসবেন?তাও জানা যায়নি।যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাউকে নিযুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়নি।তারপরও ধরে নেওয়া হচ্ছে এ. কে. মিশ্রকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টা এবং উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলির ইনচার্জ হিসেবে কাজ করছেন। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।শুধু তাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত জানুয়ারী মাসের ২৫ এবং ২৬ তারিখ মথা নেতৃত্ব দিল্লীতে গিয়ে এই এ. কে. মিশ্রের সাথেই তাদের দাবি দাওয়ার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ফলে মূল বিষয় ও সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই শীর্ষ আধিকারিক সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।