রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
উগান্ডার যুবতীর সূত্র ধরে মানব পাচারের পর্দাফাঁস!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || উগান্ডার এক যুবতীর রাজ্যে রহস্যজনক ভাবে আসাকে কেন্দ্র করে নারী পাচারের বড় ধরনের চক্রের হদিশ পেলো বিশালগড় থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ কুখ্যাত তিন নারী পাচারকারীকে জালে তুলেছে। আটক করেছে গাড়ি, উগান্ডার যুবতীর পাসপোর্ট, মোবাইল সহ আরও বেশ কিছু সামগ্রী। ধৃতরা হলো আরাবুল রহমান, ইদ্দিশ মিয়া এবং মামন মিয়া। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিশালগড় রঘুনাথপুরে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে আফ্রিকার উগান্ডা নিবাসী এক যুবতীকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করেছিলো ওই পাচারচক্রটি। কিন্তু ওই যুবতী কোনও ভাবে পালিয়ে বিশালগড় পুলিশের আশ্রয় নেয়। ত্রিপুরা ভ্রমণে আসা বিদেশিনীকে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে এনে বিশালগড়ে আটকে রেখেছিল এই পাচার চক্রটি। মহিলার পাসপোর্ট, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, পাচারকারীদের হেফাজতে ছিল। বিশালগড় মহিলা থানা প্রথমে মহিলার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা গ্রহণ করে। বর্তমানে উগান্ডার ওই যুবতী জেল হাজতে রয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস তদন্ত নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। সেই সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে বিশালগড়ে গড়ে উঠা আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হদিশ পায়। অপরাধীদের চিহ্নিত করে অবশেষে শনিবার পাচারকান্ডে যুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের কাছ থেকে উগান্ডার যুবতীর পাসপোর্ট, ব্যাগ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পাচার কাজে ব্যবহৃত মারুতি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র চৌধুরী জানান একটি পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। আরও কিছু তথ্য আসছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।