কোয়েম্বাত্তুর থেকে উদ্ধার বিরল সাদা গোখরো ‘অ্যালবিনো’

 কোয়েম্বাত্তুর থেকে উদ্ধার বিরল সাদা গোখরো ‘অ্যালবিনো’
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || শেষ বিকালে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল।তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাত্তুর শহরের একটি গলির রাস্তায় নির্বিবাদে সে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছিল। চোখ পড়ল পথচলতি মানুষের। তার পরেই ব্যাপক উত্তেজনা। সাপের রং দুধসাদা!পরে ওয়াইল্ডলাইফ এবং নেচার কনজারভেশন-এর বিশেষজ্ঞরা সাপটিতে ধরে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেন।তারা জানান, সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ ফুট এবং এটি ভারতীয় কোবরা বলে পরিচিত।এই সাপকে আবার স্পেকটিক্যাল কোবরাও বলা হয়। ভারতে থাকা চার প্রজাতির গোখরোর মধ্যে এটি একটি।এই সাপের এক ছোবলেই অবধারিত মৃত্যু,জানিয়েছেন সর্প বিশেষজ্ঞরা।জানানো হয়েছে, এটি বিরল প্রজাতির কোবরা তথা গোখরো। সাধারণত গোখরো সাপের রং কালো বা ধূসর হয়।কিন্তু এই সাপের রং সম্পূর্ণ দুধসাদা।এই প্রজাতির সাপের বৈজ্ঞানিক নাম হল অ্যালবিনো কোবরা।বিরল প্রজাতির সাপ।সচরাচর অ্যালবিনো সাপ দেখতে পাওয়া যায় না। ভারতে গোখরো, কেউটে,শঙ্খচুর মূলত কোবরা যায়। প্রজাতির সাপ। সাদা গোখরো নিয়ে সাপের হিন্দু সমাজে নানা কুসংস্কারও রয়েছে।এই সাপ দেখা নাকি খুব অশুভ লক্ষণ।বন কর্তারা জানান, প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির কারণে গর্ত ছেড়ে সাপটি রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিল।এদের গায়ের রং সাদা হয় জিনগত কারণে। অ্যালবিনো সাপের ত্বকে মেলানিন তৈরি হতে পারে না। মানুষের ক্ষেত্রেও মেলানিন একই ভাবে কাজ করে। বাবা-মার তরফ থেকে জিন যদি বাচ্চাদের মধ্যে সঠিকভাবে মেলানিন তৈরি করতে না পারে, তাহলে সন্তানের রং সাদা হয়ে যায়। সাপের ক্ষেত্রেও তাই হয়। অ্যালবিনো সাপের চোখ হয় লাল
বা গোলাপি।এদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ।কোনও অ্যালবিনো আবার সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন হয়। এদের ত্বক সূর্যের আলো বরদাস্ত করতে পারে না। বেশিরভাগ জীবের কাছেই অ্যালবিনো হয়ে জন্মানো এক শাস্তির জীবনের নামান্তর। সাধারণত সাদা হওয়ার কারণে শিকারি তাদের খুব সহজেই চিহ্নিত করে ফেলে।একাধিক সাদা রঙের জীব রয়েছে। কোয়েম্বাত্তুরে যে সাদা কোবরাটি দেখা গেছে (ছবি) সেটি পূর্ণবয়স্ক হওয়ায় তার মধ্যে অ্যালবিনোর প্রভাব কম ছিল।সেটি ছিল প্রচণ্ড বিষাক্ত এবং দেখতেও পায়। সুস্থ অবস্থায় বৃষ্টির কারণে সে বাইরে বেরিয়ে আসে।বিশেষজ্ঞরা জানান,এটি দুর্লভও সাপ অথচ খুব বিষাক্ত।এই প্রজাতির সাপ ধরার জন্য অনেক বেশি অনুশীলন প্রয়োজন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দাবি অনুযায়ী, ভারতে প্রত্যেক বছর ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়।যার মধ্যে কোবরা জাতীয় সাপ কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।তবে কোবরা অনেক সময় বিষ না ঢেলেও কামড়ায়।গত নভেম্বর মাসে ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলার দীপক নামে আট বছরের এক বালককে গোখরো ছোবল দিয়েছিল। তবু তার কিছু হয়নি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.