রুশ ফাইটার জেট ও কপ্টার ৪টি এক সাথে ভূপাতিত
রাশিয়ার স্বাধীন মিডিয়া কোমারসেন্ট জানিয়েছে, রাশিয়া – ইউক্রেন সীমান্তর ব্রায়াঙ্গকে রুশ সেনাদের একটি সুখোই এসইউ- ৩৪, একটি এসইউ-৩৫ এবং দুটি এমআই- ৮ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন। যদি প্রতিবেদনটি সঠিক হয় তাহলে এটি কিয়েভের জন্য বিশাল সামরিক সাফল্য হবে বলে রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাজিরা।
শনিবার কোমারসেন্ট ওই প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, হামলার প্রস্তুতি নেওয়া রুশ এ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো একই সঙ্গে ভূপাতিত করা হয়। যেখানে আকাশযানগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে সেটি ইউক্রেনের সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিমানগুলো ইউক্রেনের চেরনিহিত অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ও বোমা হামলা চালানোর জন্য যাচ্ছিল। অপরদিকে হেলিকপ্টারগুলো এ হামলার সহায়ক হিসাবে পাশে পাশে যাচ্ছিল। কোমারসেন্ট এ প্রতিবেদনের পক্ষে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তবে এ সংবাদমাধ্যমটিতে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সামরিক ব্লগাররাও সেই একই কথা বলেছেন। সামরিক আকাশযান বিধ্বস্ত হওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় । এছাড়া ইউক্রেনও মুখ চেপে বসে আছে। দেশটি সাধারণত রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ভেতর চালানো কোনও হামলা নিয়ে কিছু বলে না। তবে ইউক্রেনে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে এ নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা এবং আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন একসঙ্গে চারটি এয়ারক্রাফট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা কোনও দুর্ঘটনা নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা উপদেষ্টা মিখাইল পোদোলায়েক এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিমানগুলো ইউক্রেনের চেরনিহিভে ক্ষেপণাস্ত্র- বোমা হামলা চালাতে চেয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা এগুলো ধ্বংস হয়েছে।এটি তাৎক্ষণিক বিচার। রাশিয়ার -সরকারী বার্তাসংস্থা টাস নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্রায়ান্সকে একটি এসইউ- ৩৪ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এর বেশি আর কিছু জানায়নি টাস ৷