অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জিভে চুল গজাল মহিলার

 অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জিভে চুল গজাল মহিলার
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

নিজে থেকে ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেতে পইপই করে নিষেধ করেন ডাক্তারবাবুরা।তবুও এক ধরনের মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা কমে কই?অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী মারাত্মক হতে পারে,এক মহিলা হাড়ে হাড়ে তা টের পাচ্ছেন।তার জিভে চুল গজাতে শুরু করেছে।জিভের রংটাই ধূসর হয়ে গেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের এমন মারাত্মক সাইড এফেক্ট দেখে চিকিৎসকেরাই চমকে গেছেন। অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই এমন এমন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল কেস রিপোর্ট এই খবর সামনে আনা হয়েছে।ওই মহিলা মলদ্বারের ক্যান্সারে আক্রান্ত। ১৪ মাস আগে জাপানে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কেমোথেরাপির প্রতিকূল প্রভাব কমাতে ষাটোর্দ্ধ ওই মহিলা মিনোসাইক্লিন অ্যান্টিবায়োটিক নিতে শুরু করেন,যা ব্রণ থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।কিন্তু ওই অ্যান্টিবায়েটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মহিলার সারা জিভে চুল গজাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে জিভ জুড়ে কালো কালো ছোপ,ফুসকুড়ি।প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মহিলা। ডাক্তারবাবুরা বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের নানারকম সাইড এফেক্ট থাকে ঠিকই,তবে এমন ঘটনা এই প্রথম।এটিকে বিরল বলেই উল্লেখ করেছেন ডাক্তাররা।ডাক্তাররা রিপোর্টে বলেছেন, ওই প্যানিটুমুমাব প্ররোচিত ত্বকের ক্ষত রোধ করতে ১০০ মিলিগ্রাম/প্রতিদিন ডোজে মিনোসাইক্লিন নিতে শুরু করেছিলেন।রোগীর ড্রাগ- প্ররোচিত হাইপারপিগমেন্টেশন এবং একটি কালো,লোমশ জিহ্বা (ব্ল্যাক হেয়ারি টাং সংক্ষেপে বিএইচটি) ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা বলেছেন,ওই মহিলার মুখের ধূসর ছোপগুলিতে মিনোসাইক্লিন-প্ররোচিত ত্বকের ক্ষতির বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট।কারণ মিনোসাইক্লিন অক্সিডাইজড হয়ে গেলে কালো হয়ে যায় এবং ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়।মিনোসাইক্লিন হল টেট্রাসাইক্লিন গোত্রের অ্যান্টিবায়োটিক যা ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে লাগে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে র‍্যাশ, কালো প্যাচ হলে তখন এই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের থেরাপি করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.