রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
আজ দিল্লী হাটে লঞ্চ হচ্ছে কুইন পাইনাপেল ব্র্যাণ্ড
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের উৎপাদিত সুস্বাদু কুইন আনারস ‘জিআই ট্যাগ’-এর তালিকায় আগেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।তার অর্থ হচ্ছে ‘কুইন আনারস-এর যাবতীয় সরকারী স্বীকৃতি এখন ত্রিপুরার।অন্য রাজ্যে কুইন আনারস উৎপাদন হলেও এটি ত্রিপুরার ফসল (ফল) হিসাবে দেশ-দুনিয়ায় বিবেচিত হবে। এবার “কুইন আনারসকে বিশ্ব বাজারে আরও ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে আগামীকাল দিল্লীর হাটে লঞ্চ হতে যাচ্ছে ‘কুইন আনারস ব্র্যাণ্ড’।আগামীকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দিল্লীর হাটে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, কেন্দ্রীয় কৃষি রাজ্য মন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী এবং ত্রিপুরার কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথের হাত ধরে কুইন আনারসের ব্র্যাণ্ড লঞ্চ হতে যাচ্ছে।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরাও।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের উৎপাদিত কুইন আনারসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।তারই প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালের ৭ জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত ধরে কুইন আনারসকে ‘স্টেট ফ্রুটস’ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।এরপর থেকে ধীরে ধীরে রাজ্যের উৎপাদিত কুইন আনারসের কদর বাড়তে থাকে। বহিঃরাজ্যে এবং বিদেশেও কুইন আনারস রপ্তানি শুরু হয়। প্রচারের আলোতে উঠে আসে কুইন আনারস। আনারসের চাহিদা বাড়তে থাকে। এতে কৃষকরাও দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে রাজ্যে ১১,৫০৫হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়।উৎপাদন হয় ১ লক্ষ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন আনারস।এরমধ্যে ৫,০৮৬ হেক্টর জমিতে অর্গানিক আনারসের চাষ হয়। তাতে উৎপাদন হয় ৫০,২৪৫ মেট্রিকটন আনারস।এরমধ্যে প্রায় ২৩ হাজার মেট্রিকটন অর্গানিক আনারস বাণিজ্যিক ব্যবহার হয়। বাকিটা রাজ্যের চাহিদা মেটায়। গত বছর ৭২.৫০ মেট্রিকটন কুইন আনারস দুবাই এবং কাতারে রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়াও ৮০ মেট্রিকটন কৌটায় প্রসেস করা কুইন আনারস জার্মানিতে রপ্তানি করা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মোট ১০,০৮৭ মেট্রিকটন কুইন আনারস রপ্তানি করা হয়েছে।এতে কৃষকরা আয় করেছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।এই প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন,‘শুধু আনারস নয়,আমরা রাজ্যে উৎপাদিত সুগন্ধী লেবু এবং উদয়পুর মাতাবাড়ির পেঁড়া। এই দুইটি সামগ্রীকে ‘জিআই ট্যাগ’-এর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।উদ্দেশ্য একটাই, রাজ্যের উৎপাদিত সফল এবং সামগ্রীকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরা।যাতে রাজ্যের মানুষের সার্বিক বিকাশ ঘটে।পর্যটকরা যাতে ত্রিপুরায় আসে।রাজ্যের আর্থিক বিকাশ ঘটে।কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়।