ভোকাল ফর লোকাল দিশাতেই চলছে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী

 ভোকাল ফর লোকাল দিশাতেই চলছে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোকাল ফর লোকাল ভাবনা অনুসরণ করেই বর্তমান রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে।এই কাজের সুফলও মিলছে।স্থানীয় শিল্পোদ্যোগী প্রতিষ্ঠানগুলি এতে উৎসাহিত হচ্ছে।

May be an image of 11 people, temple and dais


সার্বিকভাবে এতে লাভবান হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ।মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে গণবন্টন ব্যবস্থায় গুঁড়ো মশলা সুলভ মূল্যে সরবরাহ কর্মসূচির উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।তিনি বলেন,রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। কানেকটিভির ব্যাপক উন্নয়ন এবং সরকারের সঠিক নীতির ফলে রাজ্য এবং বহি:রাজ্যের বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,গোটা চিত্র পাল্টে যাবে সাব্রুমের মৈত্রী সেতু দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে। গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হয়ে যাবে ত্রিপুরা।

May be an image of 6 people, dais and text that says "Azadi Amt Mahotsav থাদ্য, জন সংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিজয়ক দপ্তর ত্রিপুরা সরকার র দোকানের মাধ্যমে রান্নার কাজে ব্যবহৃত ওঁড়ো মশলা সূলভ মূল্যে সরবরাহের শুভ উদ্বোধন উদ্ধোধক ও প্রধান অতিথি ফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, ত্রি?র ২০২৩ oo টা মাগবতলা"


খাদ্য,জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন,এই সরকার মানুষ বান্ধব সরকার।যেকোনও সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে এর সমাধানে সুসংহত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রেশনিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথা মেলে ধরেন।তিনি রেশন ডিলারদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।কোভিড পরিস্থিতির সময় সাধারণ ভোক্তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।রেশন ডিলারদের সমস্যাগুলি নিরসনের লক্ষ্যে তিনি প্রতিশ্রুতিও দেন।তিনি বলেন,বর্তমান সরকার সমস্যা জিইয়ে রাখার সরকার নয়।সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,গত পাঁচ বছরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৭ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন ১১টি খাদ্য গুদাম স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়াও গত ৫ বছরে রাজ্যে ২৪৩টি নতুন ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হয়েছে।তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের সম্পূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করতে মিড-ডে মিল এবং আইসিডিএস প্রকল্পের অধীনে ফর্টিফাইড চাল বিতরণ শুরু করা হয়। প্রথম ধাপে গত বছর এপ্রিল মাস থেকে ধলাই জেলায় এই প্রকল্প চালু হয়।এ বছর ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যব্যাপী এই প্রকল্পে ফর্টিফাইভ চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া ব্রু রিয়াং শরণার্থী পরিবারকে অস্ত্যোদয় রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,১.২লক্ষ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন আইওসিএলের একটি নতুন এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট জিরানীয়া মহকুমার বোধজংনগরে চালু করা হয়েছে।

May be an image of 5 people, dais and text that says "রান্নার কাজে ব্যবহৃত গুঁড়ো মশলা সুলভ মূল্যে সরবরাহের ভ উদ্বোধন পক ও প্রধান অতিথি নক সাহা, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, ত্রিপ ২০২৩ ১ ্যিকী ভবন"


খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আজ রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থায় আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হলো।গণবন্টন ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। গণবণ্টন ব্যবস্থা হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো যায়।আর রেশনশপ ডিলাররাই হচ্ছেন এর চালিকাশক্তি।এক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রেশনশপের মাধ্যমে গরিব সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার পুরনো রেশন কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট রেশন কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।পাশাপাশি রেশনশপ ডিলার ও তার পরিবারের সদস্য/ সদস্যাদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার জন্যও আলোচনা চলছে। সরকার রেশন ডিলারদের যেকোনও সমস্যা সমাধানে সবসময় আন্তরিক।অনুষ্ঠানে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে দপ্তর বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন,জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ত্রিপুরা ১৪টি বিশেষ ক্যাটাগরি রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম এবং সারা দেশে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।ই-টেণ্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজ্যের মেসার্স অন্নদা স্পাইসেস ইণ্ডাস্ট্রি রেশনশপের মাধ্যমে ৪ ধরনের গুঁড়ো মশলা সরবরাহ করবে। সরবরাহকৃত মশলাগুলো হলো হলুদ, জিরা, ধনিয়া এবং লঙ্কার গুঁড়ো। এক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম হলুদের মূল্য ১৬ টাকা,জিরার মূল্য ২২ টাকা, ৫০ গ্রাম ধনিয়া ১৩ টাকা এবং ৫০ গ্রাম লঙ্কার গুঁড়োর মূল্য হবে ১৭ টাকা।খোলাবাজারের তুলনায় এই মশলাগুলির মূল্য অনেক কম রয়েছে।এর ফলে ভোক্তারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি রেশনশপ ডিলাররাও লাভবান হবেন বলে দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিমত ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানে প্রতীকী রূপে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সাধারণ ভোক্তাগণ এবং বেশনশপ ডিলারদের হাতে গুঁড়ো মশলার প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়।বিভিন্ন রেশনশপ ডিলাররা তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথাও এদিনের অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেসার্স অন্নদা স্পাইসেস ইণ্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার রতন দেবনাথ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.