রাস্তার পাশে দোকান উচ্ছেদ শীঘ্রই।।।
অনলাইন প্রতিনিধি || আগরতলা শহরকে যানজটমুক্ত করে মানুষের দুর্ভোগ অবসানে মঙ্গলবার আগরতলা পুর নিগমের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী এক মাসের মধ্যেই শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার সব রাস্তায় যানজটমুক্ত করা হবে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা যানজটমুক্ত রাখার পাশাপাশি ফুটপাথ দখল করে ও সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে দোকানপাট ও অন্যান্য নির্মাণ করার বিরুদ্ধেও আগরতলা পুর নিগম উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সেই সঙ্গে শহরের প্রাণকেন্দ্রকে পুরো যানজটমুক্ত রাখতে পোস্ট অফিস চৌমুহনী থেকে কামান চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তায় কোনও যানবাহনকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। পায়ে হেঁটে এই রাস্তায় যাতায়াত করতে হবে। রাস্তাটি ‘নো’ ভেহিকেল জোন হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণের ডাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। পোস্ট অফিস চৌমুহনী থেকে কামান চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তায় কোনও যানবাহনও পার্কিং করা যাবে না।কবে থেকে তা কার্যকর হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।মঙ্গলবার আগরতলা পুর নিগমের উদ্যোগে আয়োজিত এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, যোজনা
কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. অশোক সিন্হা, পুর নিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ যাদব, সহকারী কমিশনার সাজ্জাত, পশ্চিম জেলার ট্রাফিক এসপি, পশ্চিম জেলার এডিএম পুর নিগমের জোনাল চেয়ারম্যানরা সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনীয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকের পরে পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান,আগরতলা শহর সহ শহরের আশপাশ এলাকায় রাস্তায় যাতে কোনও ধরনের যানজট সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শহর ও শহর সংলগ্ন এখানে সেখানে রাস্তায় যাতে কোনও ধরনের যানবাহন পার্কিং না করা হয় সেই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে ৪৮টি পার্কিং জোন করা হবে।পুর নিগম মেয়র শ্রীমজুমদার জানান,রাস্তায় যেসব হকার তথা লাইসেন্সধারী ভেণ্ডার মোবাইল ভ্যান নিয়ে ব্যবসা করছেন তারা যাতে সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবসা করেন সেই বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। ভেণ্ডাররা মোবাইল ভ্যান নিয়ে রাস্তার পাশে সবসময় এক জায়গায় ব্যবসা করতে পারবেন না।
ভেণ্ডাররা তাদের মোবাইল ভ্যান নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবারের জিনিসই হোক বা অন্য ব্যবসা সামগ্রীই হোক বিক্রি করবেন।মেয়র দীপক মজুমদার স্পষ্টতই জানান,বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফুটপাথ ও সরকারী জায়গা দখল করে ব্যবসা করা যাবে না।সরকারী জায়গা দখল করে যেসব রাস্তার পাশে দোকান বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেসব পুরোপুরিভাবে উচ্ছেদ করা হবে। সরকারী জায়গায় গাঙ্গাইল রোডের রামকৃষ্ণ মিশন সংলগ্ন এলাকা, নেতাজী সুভাষ চৌমুহনী এলাকার রাস্তার পাশে গজিয়ে উঠা দোকানপাটগুলিও উঠিয়ে দেওয়া হবে।বটতলা বটগাছের পাশ থেকে দশমীঘাট পর্যন্ত রাস্তাও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান করা হবে।মেয়র শ্রীমজুমদার জানান,পুরো শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় সব রাস্তা অবৈধ দোকানপাট,নির্মাণ উচ্ছেদ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।তিনি জানান,অবৈধ দোকানপাট ও নির্মাণ তুলে নিতে ৭ দিন সময় দেওয়া হবে।
তারপরই অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় গড়ে উঠা দোকানপাট, নির্মাণ উচ্ছেদ করবে পুর নিগম। শহর ও শহর সংলগ্ন রাস্তাগুলি যানজটমুক্ত করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা সম্পন্ন করতে আগামী এক মাস লেগে যাবে বলেও পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান।তিনি বলেন, শহরের দক্ষিণ দিক থেকে হাওড়া নদীর উপর নেতাজী সেতু দিয়ে বটতলা বাজারের পাশ দিয়ে যে ওয়ানওয়ে রাস্তাটি শহরে ঢুকেছে সেই রাস্তার যানজটমুক্ত করতেও খুব শীঘ্রই বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শহরের দক্ষিণ দিকে নাগেরজলা- ড্রপগেট ও তার পরের রাস্তাগুলির পাশের অবৈধ দোকানপাটও উচ্ছেদ করা হবে। সব জায়গায় দোকানপাট ও নির্মাণ সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করে ৭ দিনের সময় দেওয়া হবে বলেও মেয়র শ্রীমজুমদার জানান।