নিরাশা কাটিয়ে যুব নেতৃত্বকে সামনে তুলে আনবে সিপিএম।।।

 নিরাশা কাটিয়ে যুব নেতৃত্বকে সামনে তুলে আনবে সিপিএম।।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যনেতৃত্বে যুবাদের আনার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। আসন্ন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন ও ২০২৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যেও ছাত্র যুবদের সামনে এনে রাজপথে নামার নির্দেশ দিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে জাতীয় কংগ্রেস দলের সাথে জোট নিয়ে সোমবারও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।কারণ লোকসভা নির্বাচন আরও এক বছর বাকি।এর আগে দেশজুড়ে বিজেপির মোকাবিলায় ত্রিমুখী কৌশল নিয়েছে সিপিএম।এ লক্ষ্যে রাজ্যের পরিস্থিতি মোতাবেক নির্বাচনি কৌশল ঠিক হবে, সেকথা আগেই স্পষ্ট করেছে সিপিএম। সোমবার আগরতলায় সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা হলো। তবে এ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে একাংশ রাজ্য নেতাদের সতর্ক করে দিল দল। শুধু তাই নয়, গত বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথার উপর নির্ভর করা এবং তিপ্রা মথাকে বিশ্বাস করা যে ভুল ছিল।তাও এ দিনের বৈঠকে স্বীকার করে নিল রাজ্য নেতৃত্ব।আজ দলের রাজ্য দপ্তরে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত, মানিক সরকার, দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী,পবিত্র কর,নরেশ জমাতিয়া, তপন চক্রবর্তী,
রাধাচরণ দেববর্মা,রতন ভৌমিক, সুধন দাস, রমা দাস প্রমুখ।সিপিএম সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নৈরাশ্য কাটিয়ে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ার নিদান দিয়ে গেলেন সিপিএমের দুই শীর্ষনেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রকাশ কারাত।নেতৃত্ব থেকেই শুদ্ধিকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।শুধু গত নির্বাচনের কাজকর্ম নয়,১৮সাল থেকেই কাজের মূল্যায়ন করে এই শুদ্ধিকরণের অভিযান চলবে।এ ব্যাপারে প্রকাশ কারাত নেতৃত্বকে রাস্তায় নেমে এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার কথা বলেছেন।দুই কেন্দ্ৰীয় নেতৃত্ব এই কাজে তরুণ নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নেমে মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করতে হবে। এভাবে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেছেন।কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।তবে বিভিন্ন বক্তা সংক্ষেপে ব্যাপক সন্ত্রাস হলেও গত বিধানসভায় বিরোধী দল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থতার কথা তুললে মানিক সরকার তা খণ্ডন করেছেন। এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পাহাড় ও সমতলের মানুষ এখন সত্যটা বুঝে গিয়েছেন।তাই বিশ্বাসঘাতকদের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রাজ্যবাসী।তবে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে আবারও রাজ্য কমিটির বৈঠক নিয়ে নানা গুঞ্জনের সূচনা হয়েছে। কারণ গত ১৯ এপ্রিল মেলারমাঠ রাজ্য কার্যালয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়েছিল।জানা গিয়েছে, আজকের বৈঠকে দলের রাজ্য, জেলা, মহকুমার অধিকাংশ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।কারণ রাজ্য কমিটির বৈঠকে অনেকগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচি রাজ্যব্যাপী রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাড়ি বাড়ি প্রচার, ঘরোয়া সভা, উঠান সভা, পথসভায় জোর দেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্যরা।দলের যুব সম্প্রদায়কে দলীয় কর্মসূচির দায়িত্ব প্রদানেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে জিতেন ও পবিত্রবাবুর নেতৃত্বে। দলের এক রাজ্য নেতা জানান, প্রাক্তন যুব সম্পাদক অমল চক্রবর্তী, অমলেন্দু দেববর্মা, নবারুণ দেব, পলাশ ভৌমিক, নেতাজী দেববর্মা,সন্দীপন দেব সহ সারা রাজ্য থেকে প্রায় ৬১ জন ছাত্র যুবদের দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদানেরও এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে।এমনকী একদিনের রাজ্য কমিটি বৈঠকের মাধ্যমে বিজেপি ও তিপ্রা মথাকে রুখতে একগুচ্ছ পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.