আকস্মিকভাবে মারা গেল স্পোর্টস স্কুলের শিক্ষার্থী খাসরাং জমাতিয়া।
অনলাইন প্রতিনিধি || হার্ট অ্যাটাকে মারা গেল বাধারঘাটস্থিত ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের এক প্রতিভাবান ফুটবলার। নাম খাসরাং জমাতিয়া। জানা গেছে,স্পোর্টস স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী আজ স্কুলের হোস্টেলে নিজের রুমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।হঠাৎ করে স্পোর্টস স্কুলে এক খুদে শিক্ষার্থী তথা ফুটবলারের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের ক্রীড়া মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।স্কুলে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা,অভিভাবকরা সবাই আকস্মিক এই ঘটনায় হতবাক। এদিকে, আইজিএম থেকে প্রয়াতের মৃতদেহ জিবিতে পোস্ট মর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।খবর নিয়ে জানা গেছে, আজ দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টা। তখন হোস্টেলের ছেলেমেয়েরা সবাই খাবার খেতে ডাইনিং হলে যাচ্ছে।তবে খাসরাং নাকি তার বাবা আসাতে রুমে বসে গল্প করছিল।হঠাৎ বাবার সামনে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। নাকে মুখে রক্ত বের হতে শুরু হয় তার।এই ঘটনায় তার বাবা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি।তখন হোস্টেল প্রায় খালি ছিল।এর মধ্যেই তার বাবা হৈচৈ ও কাঁদতে শুরু করেন। স্কুলে তখন যারা ছিল সবাই মিলে তাকে তড়িঘড়ি আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ততক্ষণে হয়তো অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই শেষ পর্যন্ত মারা যায় সে।জানা গেছে, আজ সকালেও মাঠে হাল্কা ওয়ার্ম আপ করেছিল সে।কিছুদিন আগে কৈলাসহরে রাজ্যভিত্তিক স্কুল ক্রীড়ার অনুর্ধ্ব ১৪ ফুটবল আসরে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের হয়ে খেলে এসেছে।এর মধ্যে কিছুদিন নাকি সে জ্বরে ভুগছিল। এর মধ্যে আর কোনও সমস্যা ছিল না তার। একেবারে শান্ত স্বভাব প্রকৃতির ছেলে ছিল সে। সবসময় চুপচাপ থাকতো। কিল্লা থেকে গত দুই বছর আগে ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলে এসে ভর্তি হয়েছিল সে।তবে এত কম সময়ে মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে একজন ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছে সে।একজন প্রতিভাবান ফুটবলার তো ছিল, পাশা পাশি লেখাপড়ায়ও যথেষ্ট ভালো ছিল খাসরাং।তবে হঠাৎ তার এভাবে মৃত্যু কেউই মন থেকে মেনে নিতে পারছে না। এদিকে খাসরাং সহ গত কয়েক বছরে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুর ঘটনায় ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের প্রশাসনিক এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।বিশেষ করে স্পোর্টস স্কুলে জরুরিভিত্তিক মেডিকেল ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।স্পোর্টস স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ ও শারীরিক নানা সমস্যাগুলো দেখাশোনার জন্য আদৌ কোনও ব্যবস্থাপনা রয়েছে কি না এ নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে।