কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে জার্মান পর্বতারোহীর মৃত্যু।
কাঞ্চনজঙ্ঘায় অভিযানে গিয়ে এক পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেন এবং শেরপা ছাড়া কাঞ্চনজঙ্ঘায় আরোহণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে নামার সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।কাঞ্চনজঙ্ঘায় অভিযানে গিয়ে গত ২৫ মে নিখোঁজ হন জার্মান পর্বতারোহী লুইস স্টিসিংগার। তবে মঙ্গলবার ৫৪ বছর বয়সি এই পর্বতারোহীর মরদেহ দেখতে পাওয়া গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেস ক্যাম্পের উপরে। শেরপারা তার মরদেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছে, স্থানীয় সংবাদপত্র।প্রায় আট হাজার ফুট উচ্চতায় আছে জার্মান পর্বতারোহীর মরদেহ। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধার অভিযান ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। এর আগে এভারেস্ট এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত কে-২ জয় করেছেন স্টিটসিংগার। এবার তিনি গিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে।নেপালের একাধিক কাগজে বলা হয়েছে,অক্সিজেন এবং শেরপা ছাড়া সম্পূর্ণ একা কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়েছিলেন এই পর্বতারোহী। সম্ভবত তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখরেও পৌঁছেছিলেন।কারণ নামার পথে তার সঙ্গে অন্য পর্বতারোহীদের দেখা হয়েছে।
নামার সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। নামার পথের বিষয়ে অন্য পর্বতারোহীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন বলেও জানা গেছে। এভারেস্টের চেয়ে অনেক বেশি দুর্গম কাঞ্চনজঙ্ঘা। খুব বেশি পর্বতারোহী এ পথে যানও না।ফলে কঠিনতম অভিযানে নেমেছিলেন স্টিটসিংগার।তবে শেষরক্ষা হলো না।বাভারিয়ায় পরিচিত নাম স্টিটসিংগার।পর্বতারোহী এবং হাই মাউন্টেন স্কিংয়ের জন্য তিনি বিখ্যাত।বহু কঠিন অভিযানে সফলও হয়েছেনএই পর্বতারোহী। তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, বরাবরই সতর্ক পর্বতারোহী ছিলেন টিসিংগার।অকারণে ঝুঁকি তিনি নিতেন না।যে পর্বতারোহীদের সঙ্গে তার শেষ দেখা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, নামার সময় স্কিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। স্কি করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে কিনা,তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। স্টিটসিংগারের স্ত্রীও পর্বতারোহী। বহু অভিযান তারা একসঙ্গে করেছেন।তাদের একটি বইও আছে।