মৃত্যুর চার বছর পর কফিনে অক্ষত সন্ন্যাসিনীর দেহ

 মৃত্যুর চার বছর পর কফিনে অক্ষত সন্ন্যাসিনীর দেহ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অলৌকিক ঘটনা বোধহয় একেই বলে। তাকে যথোচিত মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছিল চার বছর আগে। প্রথা মতো এবার তার দেহ সেখান থেকে তুলে গির্জার পাশে সমাহিত করা হবে। কিন্তু সমাধি খুঁড়ে কফিন তুলতেই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। সন্ন্যাসিনীর দেহ অবিকল এক রকম রয়েছে, একটুও পচন ধরেনি মৃত শরীরে। প্রয়াত সন্ন্যাসিনীর নাম সিস্টার উইলহেলমিনা ল্যাঙ্কাস্টার (ছবি)। তিনি ছিলেন আমেরিকার ছোট শহর মিসৌরির কনসাস শহরতলির একটি খ্রিস্টীয় মঠের প্রতিষ্ঠাতা। ক্যাথলিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে,২০১৯ সালে মৃত্যুর চার বছর পর, সিস্টার ল্যাঙ্কাস্টারের মৃতদেহটি মঠের চ্যাপেলে ‘অন্তিম বিশ্রামস্থলে ‘ স্থানান্তরিত করতে গত ১৮ মে কবর থেকে তোলা হয়। কফিন খুলে সকলে দেখেন, সন্ন্যাসিনীর দেহটি অবিকল এক রয়েছে, ঠিক যেমন মৃত্যুর সময়ে ছিল। মিসৌরি মঠের এক সন্ন্যাসিনী বলেন, ‘সিস্টার ল্যাঙ্কাস্টারের মৃতদেহ সমাধিস্থ করার সময় কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি, দেহের গায়ে এমনকী দেওয়া হয়নি কোনও সুগন্ধি। কাঠের কফিনে দেহটি কবর দেওয়া হয়েছিল।’ কানসাস সিটির সেন্ট জোসেফের ডায়োসিস বিশপ জনস্টন বলেন, ‘ল্যাঙ্কাস্টারের জন্য সন্তের প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা হয়নি।’ক্যাথলিক নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এর আগে একশোর বেশি সন্ন্যাসিনীর দেহ কবর থেকে তোলা হয়েছিল, কিন্তু এমন ঘটনা এই প্রথম। ওই মঠের মাদার সিসিলিয়া বলেন, ‘ল্যাঙ্কাস্টার সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সন্ন্যাসিনী যার মৃতদেহ অক্ষয় অবস্থায় পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি তিনিই প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান মহিলা
যার দেহ মৃত্যুর চার বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল।’ মাদার সিসিলিয়াই প্রথম ব্যক্তি যিনি ওই কফিনটি পরীক্ষা করেছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.