দৈনিক সংবাদের খবরের জের, বিমানে যাত্রী পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য মানবাধিকার কমিশনের নোটিশ।

 দৈনিক সংবাদের খবরের জের, বিমানে যাত্রী পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য মানবাধিকার কমিশনের নোটিশ।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || দৈনিক সংবাদের খবরের জের, বিমানে যাত্রী পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য মানবাধিকার কমিশনের নোটিশ।বিমানে যাত্রীদুর্ভোগ এবং যাত্রী পরিষেবা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ত্রিপুরা ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন নড়েচড়ে বসলো। বিমানযাত্রীর দুর্ভোগ ও যাত্রী ঠকানো নিয়ে দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় পরপর কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশন সুয়োমোটো মামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইণ্ডিগো বিমান সংস্থার আগরতলার স্টেশন ম্যানেজার/অফিস ইনচার্জকে নোটিশ ইস্যু করে ১১টি বিষয়ে জানতে চেয়েছে। তাতে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি আগরতলা সেক্টরে বিমান পরিষেবা নিয়ে বিমানযাত্রীদের অভাব- অভিযোগ, দুর্ভোগ, যাত্রীর পকেট কাটা, হয়রানি ইত্যাদি নিয়ে দৈনিক সংবাদে প্রথম পাতায় পরপর তিনদিন সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলি প্রকাশিত হয় প্রথমটি গত ৪ জুন। সংবাদের শিরোনাম হলো “বিমানে পানীয় জলের বোতলও মিলছে না ইণ্ডিগোতে, ক্ষোভ’, ৫ জুন প্রকাশিত হয় ‘ভ্যাট কমানোয় সস্তা জ্বালানি বিমান টিকিট অগ্নিমূল্যই, ক্ষোভ’, ৬ জুন প্রকাশিত তৃতীয় সংবাদটির শিরোনাম ছিল ‘ফ্রি লাগেজও ঠকানো হচ্ছে ইণ্ডিগোর যাত্রীদের, অসন্তোষ’। বিমানযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ সংক্রান্ত এসব সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরই মঙ্গলবার ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন মামলা নেয়। সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যে ১১টি বিষয়ে জানতে চেয়েছে তা হলো ইণ্ডিগোর বিমানে আগরতলা সেক্টরে যাতায়াতে যাত্রীদের জল দেওয়া হয় কি না? তাতে টাকা নেওয়া হয় কি না। উল্লেখ্য, জল দেবার বিষয়টি রীতি। প্রয়োজন অনুযায়ী জল দেওয়া কাউকে এটা হচ্ছে ভারতীয় রীতি এবং পরম্পরা। কিন্তু ইণ্ডিগো কর্তৃপক্ষ সেই জল পরিষেবা যাত্রীদের দিচ্ছে কি না বা এ সংক্রান্ত কোনও গাইডলাইন রয়েছে কি না এনিয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন। এছাড়া জল বিনা পয়সায় দেওয়া হয় কি না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। ইণ্ডিগোর বিমানে এয়ার হোস্টেসরা কি যাত্রী পরিষেবা দেন, নাকি জিনিসপত্র বিক্রিতে বেশি ব্যস্ত থাকেন, ডিজিসিএ-র গাইডলাইন অনুযায়ী ইণ্ডিগোর বিমান দুই ঘন্টা বিলম্ব হলে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ইণ্ডিগোর বিমান বাতিল হলে যাত্রীদের বিনা পয়সায় থাকার জন্য হোটেল দেওয়া হয় কি না? রাজ্য সরকার রাজ্যের গরিব যাত্রীদের কথা চিন্তা করে বিমান জ্বালানির উপর ভ্যাট ও জিএসটি কমিয়ে ১ শতাংশ করার পর জ্বালানি সস্তা হওয়ায় ভাড়া কমানো হয়েছে কি না, নাকি ইণ্ডিগো কেবল সেই সুবিধা নিচ্ছে?কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার সম্ভায় বিমান জ্বালানি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ করেছে কি না? ইণ্ডিগোর বিমানযাত্রীদের লাগেজ নেওয়ার ক্ষেত্রে ওজনে কোনও সীমা নির্ধারণ করেছে কি না,ইণ্ডিগো ১৫ কিলো লাগেজ নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু একটি লাগেজ নেওয়ার কোনও নিয়ম চালু করেছে কি না? ১৫ কিলো লাগেজ নিতে একটির বেশি লাগেজ নিলে প্রতি লাগেজের জন্য ১০০০ টাকা করে নেওয়া হয় কি না? ইণ্ডিগো ও অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলি বিমান ভাড়া নির্ধারণ করার সময় কোনও নিয়ম, গাইডলাইন মানছে কি না? নাকি মর্জিমতো ভাড়া নির্ধারণ করছে – বিমানযাত্রী পরিষেবায় এই ১১টি বিষয় জানতে চেয়েছে কমিশন। কেন্দ্ৰীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মঙ্গলবার মামলার নোটিশ দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি এস সি দাস।নোটিশে কমিশনের দুই সদস্য এস সি সাহা B বি কে রায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। মানবাধিকার কমিশন চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে যাদের কাছে নোটিশ পাঠায় তাহলো কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব, রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তরের সচিব, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধিকর্তা,আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরের অধিকর্তা ইণ্ডিগোর আগরতলার স্টেশন ম্যানেজার/ ইনচার্জ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.