স্বামীর পরামর্শে রোগা হতে গিয়ে কঙ্কালসার স্ত্রী ওজন কমে ২২ কিলো।
স্বামীর কথা রাখতে গিয়ে কার্যত কঙ্কালে পরিণত হলেন ইয়ানা রোভরোভা নামে রাশিয়ার বেলগ্রেডের এক তরুণী। ৫ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ইয়ানার দৈহিক ওজন এখন ২২ কিলোর নিচে নেমে এসেছে। নিজের আগের এবং বর্তমান কঙ্কালসার চেহারার ছবি পোস্ট করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে। নিজের এমন ‘ভৌতিক’ রূপের জন্য স্বামীকে সরাসরি দোষারোপ করেননি ইয়ানা, তবে লেখার প্রতি ছত্রে অভিমান জানিয়েছেন। বলেছেন, মোটা বলতে যা বোঝায়, তিনি কোনও দিনই তেমন ছিলেন না। তবু স্বামী তাকে রোজ মোটা বলে খোঁটা দিতেন, বিদ্রূপ করতেন। ইয়ানা লিখেছেন, ‘কখনও আমার স্বামী বলত, আমার মুখটা ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। পরদিন বলত, ভুঁড়ি বেড়ে গেছে। স্বামী খুশি হবেন ভেবে আমিও রোগা হওয়ার জন্য পণ করে বসি। শুরু করি কড়া ডায়েটিং। কিন্তু রোগা হতে চাওয়ার পরিণাম এমন মর্মান্তিক হবে, সেটা ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি।’ ইয়ানার এই পোস্ট নেট দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ মন্তব্য করেছেন, উগ্র পুরুষতন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কিছু পছন্দ-অপছন্দ আছে। আর সেই পছন্দ জোর করে কারও উপর চাপিয়ে দেওয়ার ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ ইয়ানা, মন্তব্য করেছেন বহু মানুষ।নিজের ওই এক পোস্টের দৌলতেই রুশ সংবাদমাধ্যমে তিনি শিরোনামে চলে এসেছেন। ইয়ানা বলেছেন, স্কুল থেকেই ওজন কমিয়ে নিজেকে স্লিম রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী তার চেহারা নিয়ে টিপ্পনী কাটতে শুরু করে। নিজেকে আরও রোগা করতে তিনি শুরু করেন কঠোর ডায়েটিং। নিজের বর্তমান ‘অবতার’ তারই পরিণাম। চিকিৎসকরা বলেছেন, ইয়ানার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ইয়ানা মহিলা স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, “স্বামীর ইচ্ছা রাখতেই আমার আজ এই ভয়ঙ্কর পরিণাম। এমনকী আজ আমি অপুষ্টির শিকার। যে কারণে আমাকে চাকরিও হারাতে হয়েছে। নিজের আত্মবিশ্বাসটাই আজ আমি হারিয়ে ফেলেছি।’ ইয়ানা আরও বলেন, ‘স্বামীর চোখের সামনে আমার চেহারা কঙ্কালসার হতে শুরু করলেও তিনি কখনও বাধা দেননি, বরং আমার পরিবর্তিত রূপ উপভোগ করেছেন।