রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা : আর চন্দ্রশেখর।
অনলাইন প্রতিনিধি || বর্তমান সময় প্রযুক্তি এবং প্রতিযোগিতার। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ‘দক্ষতা অর্জন’ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে যত বেশি ‘দক্ষতা অর্জন’ করতে পারবে কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পরও বেশিরভাগ যুবক-যুবতী বেকার। একাডেমিক পড়াশোনার সাথে ভালো কোনও দক্ষতা (স্কিল) না থাকায় অনেকে চাকরি পাচ্ছে না। অথবা চাকরি পেলেও অল্প বেতনে কাজ করতে হচ্ছে।তাই পড়াশোনার সাথে সাথে প্রত্যেককে কোনও না কোনও ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন খুবই জরুরি। বর্তমান যুগে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ছাড়া জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা কঠিন।সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ভারত সরকার স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপর অত্যধিক জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৯ বছরের শাসনকালে এই সেক্টরে বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যার সাফল্য ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে। একটা সময় ছিল, বিদেশ থেকে ভারতে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি আমদানি করা হতো। আজ ভারত মোবাইল, সফটওয়্যার বিদেশে রপ্তানি করছে। ভারতেই এমন বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির মোবাইল প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর ওইসব কোম্পানিগুলিতে কাজ করছে অধিকাংশ মহিলারা। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের নজর এখন ভারতের দিকে। কেননা ভারতের হাতে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় যুব শক্তি। ভারতের হাতেই বিশ্বের উন্নয়ন।এই অভিমত ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যাণ্ড এন্টারপ্রেণারশিপ, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যাণ্ড আইটি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। মোদি সরকারের ৯ বছরের কার্যকালে উত্তর পূর্বের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার অঙ্গ হিসাবে সম্প্রতি ত্রিপুরা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় চন্দ্রশেখর। দৈনিক সংবাদ তথা বিসিডিবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সঞ্জয় পালের সাথে একান্ত আলোচনায় তিনি একথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন,ত্রিপুরা খুব দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরা শুধু উত্তর পূর্বেই নয়, দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করবে।তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে ত্রিপুরায়। যার মাধ্যমে শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক বাজারও খুলবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগামীদিনে ত্রিপুরায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতাসম্পন্ন লোকের প্রয়োজন পড়বে। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি এবং শিল্পক্ষেত্রে। তাই ত্রিপুরার গ্রামীণ এবং স্বসহায়ক দলের মহিলাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা (স্কিল) অর্জনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বসহায়ক দলের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে অনলাইন মার্কেটে বিক্রি করতে পারে – এ ধরনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যুব শক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের কাজে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও ত্রিপুরায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে।এই বিষয়েও শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভারতে ওয়ার্ক ফোর্স ছিল ৪১ কোটি। এর মধ্যে ৩১ কোটিই ছিল আনস্কিল্ড। গত ৯ বছরে সরকার দক্ষতা অর্জনের উপর জোর দিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছে। এখন ভারতে মোবাইল উৎপাদন হচ্ছে। ভারত থেকে দক্ষ শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছে কাজ করার জন্য। যে সুরাট কাপড় উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত, সেই সুরাট এখন কাপড়ের পাশাপাশি আইটি হাব হিসাবে গড়ে উঠেছে। ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে ত্রিপুরারও বড় ভূমিকা থাকবে বলে তিনি দাবি করেন।