রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
মানব পাচার, হামসফর, এক্সপ্রেস থেকে আটক ৫।
অনলাইন প্রতিনিধি || শনিবার সকালে ধর্মনগর রেলস্টেশন থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করলো আরপিএফ পুলিশ।ধৃতরা হলো মোহমদ রফিক (২৭) পিতা আইয়ুব আলি, সাহাব আলি শেখ (৬১) পিতা মৃত মহাব্বত আলি শেখ,শফিকুল ইসলাম (৪০) পিতা সাইদুর রহমান,রোজিনা বেগম (৩৫) স্বামী রুস্তম হাওলাদার ও মমতাজ বেগম (১৮) পিতা রুস্তম হাওলাদার। তাদের মধ্যে পুরুষ তিনজনের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানাধীন মধ্যম বরিশাল গ্রামে এবং মহিলা দুজনের বাড়ি ফিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া থানাধীন কুসখালি, কাজিরকান্দা গ্রামে।তাদের চারজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোহমদ রফিক তাদের বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসেছে।বাংলাদেশের দালাল আলাউদ্দিন তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকায় জনপ্রতি কুড়ি হাজার টাকা করে নিয়ে ওই দেশের আমতলি হয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করিয়েছে।সেই সময় তারা সীমান্তে কোনও বিএসএফ দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে আগরতলা রেলস্টেশনে আসে এবং রফিকের হাত ধরে ট্রেনে চেপে তারা বেঙ্গালুরুতে যাচ্ছিলো। সাহাব আলি শেখ ও শফিকুল ইসলাম তারা দুজন সম্পর্কে মামা ভাগিনা, তারা জানায়, বাংলাদেশে তাদের চায়ের দোকানের ব্যবসা ছিল পরিবার নিয়ে কোনওমতে দিন কাটছিল। রফিক তাদের ভারতে নিয়ে গিয়ে টাকা রোজগার করে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। আর বড়লোক হওয়ার লোভে তারা ভারতে এসেছে। একইভাবে ৯ মাস আগে রোজিনা বেগমের স্বামী রুস্তম হাওলাদারকে ভারতে এনেছিল রফিক। জানা যায়, বর্তমানে রুস্তম বেঙ্গালুরুতে রয়েছে। তার সাথে এবার স্ত্রী ও কন্যাকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যেতে রফিক তাদের নিয়ে এসেছে। রফিক থেকে জানা যায়, সে ভারত বাংলাদেশ উভয় দেশে যখন খুশি যাওয়া আসা করতে পারে এবং তার মোবাইলে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ফিকো পেমেন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাপ রয়েছে। যা দিয়ে বিশ্বের যেকোনও জায়গায় বসে সে লেনদেন করতে পারে।এদিন বাংলাদেশি আটক করে ধর্মনগর আরপিএফ থানার ইনচার্জ নীহাররঞ্জন দাস জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাতটায় লামডিং কন্ট্রোল রুম থেকে ধর্মনগর আরপিএফ থানায় খবর আসে আগরতলা থেকে হামসফর এক্সপ্রেসে কোচ নম্বর বি-১৬-তে সন্দেহভাজন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক আসছে। সেই সূত্র ধরে এদিন সকাল আটটা আট মিনিটে হামসফর এক্সপ্রেস ধর্মনগর স্টেশনে ঢুকতেই অভিযানে নামে আরপিএফ পুলিশ সঙ্গে ছিল ধর্মনগর জিআরপি পুলিশ ও বিএসএফের একজন কর্মী। খবরে বলা হয়েছিল পাঁচ বাংলাদেশি ওই কোচের ১৭ থেকে ২৪ নম্বর সিটে বসা থাকবে। কিন্তু পুলিশ সেই সিট নম্বরে তাদের প্রায়নি তারা সিট নম্বর বদল করে এক থেকে পাঁচ নম্বর সিটে বসেছিল। এরপরই তাদের সাথে কথায় অসংলগ্নতা দেখে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং তারা স্বীকার করে বাংলাদেশ থেকে এসেছে।এই ঘটনা সামনে আসতেই জোর দাবি উঠেছে রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই মানব পাচার চক্রের পুরো দলকে আইনের আশ্রয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। তবেই এ ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে রাজ্যে। এদিন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে ধর্মনগর জিআরপি পুলিশের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। ধর্মনগর জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার কলই জানিয়েছেন, ধৃত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে রবিবার ধর্মনগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হবে।