ফেনী নদীর জল সমস্যা নিয়ে ভারত-বাংলা বৈঠক সম্পন্ন।

 ফেনী নদীর জল সমস্যা নিয়ে ভারত-বাংলা বৈঠক সম্পন্ন।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশের বৈঠকে দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে আশার আলো।অভিন্ন নদী নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ দীর্ঘদিন ধরে বজায় রয়েছে। ভারত বাংলা সম্পর্কের উষ্ণতার আবহে সমস্যা নিরসনে দুপক্ষের আন্তরিকতা কাঙিক্ষত লক্ষ্যে এগোচ্ছে।হাসিনা সরকার বরাবরই ভারতের ব্যাপারে ইতিবাচক।দুদেশের অভিন্ন নদী নিয়ে জলের সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান করার জন্য দুপক্ষই আন্তরিক।আজ সকাল এগারোটা সময়ে বাংলাদেশ জল সম্পদ দপ্তরের শুভেন্দু খাস্তগীরের নেতৃত্বে তেরো সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধি দল মৈত্রী সেতু দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। মৈত্রী সেতুর উপরে তাদের বরণ করেন ভারতের পক্ষে চিফ ইঞ্জিনীয়ার ডি ডব্লিউ এস দপ্তরের শ্যামল ভৌমিক, মহিতোষ দাস চিফ ইঞ্জিনীয়ার ওয়াটার রিসোর্স। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার উপরে দুই দেশের প্রতিনিধরা ফেনী নদীর পারে আলোচনা করেন। আলোচনায় বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের জল সম্পদ দপ্তর সার্কেল ফোরের ডা. জীবন কুমার সরকার। ভারতের পক্ষে ডি ডব্লিউ এস দপ্তর প্ল্যানিং অফিসার কমল নাথ, চিফ ইঞ্জিনীয়ার শ্যামল ভৌমিক (ডিডব্লিউএস), প্রণয় কুমার দাস এসই (ডিডব্লিউএস), রীতেশ দেববর্মা সহ দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। ফেনী নদীর জল নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সমস্যার বৃত্ত থেকে কীভাবে বের হয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আন্তরিক।আজকের যৌথ নদী কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে দুই পক্ষই ইতিবাচক আলোচনা চালিয়েছেন। অভিন্ন নদীর জল নিয়ে ভারত বাংলাদেশের প্রবাহমান সমস্যা ঢাকা-নয়াদিল্লী উত্তরণের পথ খুঁজছে।গত বছর অনুরূপভাবে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মূলত ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, প্রতিদিন ১.৮২ কিউসিক জল ফেনী নদী থেকে তোলা হবে। পরবর্তী সময়ে তা পরিস্রুত করে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হবে। বিষয়গুলি যে বাংলাদেশের আধিকারিকরা জানে না তা নয়। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে তা বারে বারে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে যা থেকে খুব সহজে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বের হয়ে আসতে পারে। আজ সেই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের জল সম্পদ দপ্তরে সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনীয়ার ডিজাইন সার্কেল ফোর ঢাকার ডা. জীবন কুমার সরকার এবং ভারতের পক্ষে ডি ডব্লিউ এস দপ্তর (প্ল্যানিং) এগজিকিউডিভ ইঞ্জিনীয়ার কমল নাথের সাথে দীর্ঘ আলোচনা চলে। মূলত দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিক বিভিন্ন সরকারী কাগজপত্র দেখে আলোচনা করতে দেখা যায়। এক সময়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের জানায় যে তারা বিষয়টি বুঝেছেন।তবে আরও আলোচনা প্রয়োজন।তবে সিদ্ধান্ত ঢাকা গিয়ে তারা আলোচনা করে ভারতকে জানাবেন বলে বৈঠক এক প্রকার শেষ হয়।কিন্তু আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ভারতের সাংবাদিকদের সামনে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে একেবারে নারাজ ছিলেন। ভারতের সাংবাদিকরা তাদের ঘিরে ধরলেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ফেনী নদীর জল ব্যবহার নিয়ে কোনও কথাই বলেনি। তবে আজকের দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।ভারতীয় প্রশাসনের আন্তরিকতায় তারা বেশ খুশি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.