২ দোকানে গরমিল, শোকজ; মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার অভিযানে এনফোর্সমেন্ট।

 ২ দোকানে গরমিল, শোকজ; মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার অভিযানে এনফোর্সমেন্ট।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদর এনফোর্সমেন্ট টিম সোমবার মহারাজগঞ্জ বাজার ও নেতাজী সুভাষ রোডের পাইকারি বাজারে অভিযান করেছে।পাকা মেমো না দিয়ে হাতে লিখে কাঁচা মেমো দিয়ে চাল বিক্রি করায় এনফোর্সমেন্ট টিম নেতাজী সুভাষ রোডের দুটি দুটি পাইকারি দোকানকে তিনদিনের সময়সীমা দিয়ে শোকজ নোটিশ দিয়েছে। রজত কুমার সাহা ও পার্থ সাহা এই দুই স্টকিস্ট ও পাইকারি দোকানের মালিককে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন সদর মহকুমাশাসক অরূপ দেব। সোমবার থেকে তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে কেন এই দুই দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।জানা গেছে,দুই দোকান শোকজের জবাব দেওয়ার পর সদর মহকুমাশাসক আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।এই দুই দোকানের অপরাধ চাল বিক্রির সময় খুচরো ব্যবসায়ীকে পাকা মেমো না দিয়ে একটি হলুদ কাগজে হাতে লিখে মেমো ধরিয়ে দেন।এনফোর্সমেন্ট টিম নেতাজী সুভাষ রোডে অভিযানে দুই ট্রাক চাল নেওয়ার সময় কাগজপত্র ঠিক আছে কি না যাচাই করতে গিয়ে দেখে পাইকারি দোকান থেকে চাল বিক্রির পাকা মেমো দেয়নি। এনফোর্সমেন্ট টিম আগেই অভিযোগ পেয়েছিল একাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী খুচরো ব্যবসায়ীর কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করলে পাকা মেমো দেন না। কাগজে হাতে লিখে মেমো দেন। অভিযোগ,পাইকারি ব্যবসায়ীরা হাতে লিখে খুচরো কাগজে হাতে লিখে ব্যবসায়ীদের মেমো দেন এই কারণে যে আসল ও সঠিক মূল্য না নিয়ে মর্জিমতো বর্ধিত মূল্য নিয়ে মূল্য লিখে দেন। যেমন ধরুন একটি জিনিস প্রতি কুইন্টাল খুচরো ব্যবসায়ীর কাছে যে মূল্যে একাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী বিক্রি করবেন সেই মূল্যটা পাকা মেমোতে লিখতে পারবেন না বলে হলুদ বা লাল কাগজে হাতে সেই মূল্যটা লিখে দিয়ে খুচরো ব্যবসায়ীর কাছে জিনিসপত্র বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। আর পাকা মেমোতে যখন মূল্য লিখে দেবেন তখন পাইকারি ব্যবসায়ী কম মূল্যে বিক্রি করেছেন দেখিয়ে লিখে দেন বলে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে বহু অভিযোগ গেছে বলেও অভিযানকারী টিম সূত্রে জানা গেছে। সেই কারণে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।সেই কারণেই বাজারে পাইকারি মূল্যের সঙ্গে খুচরো মূল্যের বিস্তর ফারাক থাকছে বলে বাজার সূত্রে সংবাদ।তাছাড়া করও ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।তাই পাকা মেমো ছাড়া কোনও জিনিসপত্র বিক্রি করা আইনত অপরাধ।তাতে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে।একাংশ অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীর এ ধরনের অপরাধমূলক কাজের জন্য খুচরো বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সবসময় বর্ধিত থাকছে। তাতে ক্রেতা সাধারণ বাজারে গিয়ে ঠকছেন। একাংশ অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীর এই কাজ দীর্ঘদিন ধরে চললেও এতদিন ধরে সরকারী দপ্তর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ।তবে কিছুদিন ধরে সদর মহকুমাশাসক অফিস ও খাদ্য দপ্তরের তরফে এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বাজারে বাজারে গিয়ে সচেতন করেছিল।এখন ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। সোমবার এনফোর্সমেন্ট টিমে ছিলেন সদরের দুজন ডিসিএম রঞ্জিত দাস ও ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা, সদর এসডিসি (ফুড) প্রদীপ কুমার ভৌমিক, মুখ্য খাদ্য পরিদর্শক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী সহ পুলিশ কর্মীরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.