আগের বহু কাজ অধরা, ২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
অনলাইন প্রতিনিধি || দ্বিতীয় বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৭ জুলাই থেকে।এই অধিবেশনেই পেশ করা হবে ২০২৩- ২৪ অর্থ বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ইতিমধ্যেই বাজেট প্রস্তুতির কাজ চলছে জোর কদমে। মঙ্গলবার অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, বিদ্যুৎ, নির্বাচন ও সংসদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও দপ্তরের মন্ত্রী আধিকারিকদের বাজেট প্রস্তুতিতে বৈঠক চলছে মহাকরণে।এর আগে চার মাসের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাবও পাস করা হয়েছে। প্রতিবছরই পাল্লা দিয়ে বাজেট বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছরও হয়তো গতবারের বরাদ্দ ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যে সব কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করছে, তার কতটুকু কাজ হচ্ছে? গত দুই-তিন বছরের বাজেটে উল্লেখিত প্রতিশ্রুতিগুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর মধ্যে অনেকগুলিই বাস্তবায়িত হয়নি। উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, যেমন মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে যে সব রোগী এবং তাদের আত্মীয়স্বজন চিকিৎসার জন্য যান থাকার সুবিধার জন্য তাদের থাকার হাসপাতালের কাছাকাছি মুম্বাইয়ের খারঘর এলাকায় একটি নতুন ত্রিপুরা ভবন নির্মাণ করা হবে। ত্রিপুরা পুলিশের নতুন মুখ্য কাৰ্যালয় নির্মাণ। একই কমপ্লেক্সে বিভিন্ন দপ্তর এক সাথে কাজ করার লক্ষ্যে নতুন অফিস বাড়ি নির্মাণ। এমন আরও অনেক কিছু রয়েছে। গত তিন বছর ধরে প্রতিটি বাজেটে এই প্রতিশ্রুতিগুলি উল্লেখ থাকতে দেখা যাচ্ছে অথচ কাজের কোনও খবর নেই। সম্ভবত এবারও বাজেটে হয়তো এইগুলি উল্লেখ থাকবে। রাজ্য পুলিশের মুখ্যালয় নির্মাণে তিন বছর ধরে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে ঘটা করে ভূমি পুজোনও হলো। কিন্তু এরপরই আর কোনও সারা শব্দ নেই।তেমনি মুম্বাইতে ত্রিপুরা ভবন নির্মাণের অগ্রগতি কতটুকু রাজ্যবাসী কিছুই জানে না। বাজেটে এখন আরও অনেক প্রতিশ্রুতি এবং অর্থ বরাদ্দের উল্লেখ রয়েছে। সেগুলোর আজও কোনও খবর নেই। সরকার ও রাজ্যের উন্নয়ন পরিচালনায় যাবতীয় সবকিছু বাজেটের উপর নির্ভরশীল। বাজেট বরাদ্দ ছাড়া এক পা এগোনোর সুযোগ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু বছরের পর বছর বাজেট বরাদ্দ করলেই হবে? বাস্তবায়িত হবে কবে ?