রাজ্যে মাছের ঘাটতি মেটাতে উৎপাদনে বিশেষ জোর: সুধাংশু।

 রাজ্যে মাছের ঘাটতি মেটাতে উৎপাদনে বিশেষ জোর: সুধাংশু।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে মাছের চাহিদা মেটাতে মাছ উৎপাদনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে পরিত্যক্ত জলাশয়গুলিকে চিহ্নিত করে মাছ চাষের উপযুক্ত করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য দপ্তর। সেই সাথে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সারা রাজ্যে ১০০ হেক্টর নতুন জলাশয় সৃষ্টি করবে দপ্তর। বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তগুলির কথা জানান দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্যমন্ত্রী শ্রীদাস আরও জানান, রাজ্যে মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সহায়তা হিসেবে ২৪ কোটি ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছে। ইতিমধ্যে ৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে ২০২৩- ২৪ অর্থবর্ষে ১৩টি নতুন আইএমসি হ্যাচারি স্থাপন করা হবে, ১০টি রঙিন মাছ পালন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, মাছ বিক্রির জন্য তাপ নিরোধক বাক্স সহ ৫৫টি বাইসাইকেল,১০০টি মোটর সাইকেল এবং ৫০টি তিন চাকার গাড়ি দেওয়া হবে। খোয়াই জেলার চাম্পাহাওড়ে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১টি মাছের ভেলু অ্যাডেড ইউনিট স্থাপন করা হবে, ৪২৪৬ জন জেলেকে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। ২০২১-২২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যে সমস্ত বিষয়ে সফলতা অর্জন করেছে সাংবাদিক সম্মেলনে তা তুলে ধরে মৎস্যমন্ত্রী জানান, এই দুই অর্থবর্ষে সারা রাজ্যে ২৫০.০৫ হেক্টর নতুন জলাশয় সৃষ্টি করা হয়েছে, ৫০৯.১৮ হেক্টর মৎস্য চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে, ১টি চিংড়ি হ্যাচারি এবং ৭টি আইএমসি হ্যাচারি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি জানান ১৩টি রঙিন মাছ পালন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, ৫৬টি বায়োফ্লক ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে, ৬টি মৎস্য বিপণী চালু হয়েছে,খোয়াই জেলা, পশ্চিম জেলা এবং গোমতী জেলাতে ৩টি জ্যান্ত মাছ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী জানান, মাছের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৩টি ফিশ ফিড মিল স্থাপন করা হচ্ছে। মাছ চাষের অফ সিজনে ৬,৩৮১ জন মৎস্যচাষিকে জীবিকা নির্বাহের জন্য জনপ্রতি মাসিক ১০০০ টাকা করে তিন মাসের জন্য ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।৫৭টি মৎস্যচাষি পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মাছ বিক্রি এবং পরিবহণের জন্য তাপনিরোধক বাক্স সহ ২৪৩টি বাইসাইকেল, ৭৪টি মোটর সাইকেল এবং ৪৫টি ত্রিচক্র যান প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডম্বুর জলাশয়ে ৫৫.৪০ লক্ষ মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। ত্রিপুরার ১১টি প্রধান নদীতে ৩৬.৬০ লক্ষ মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের সচিব বি এস মিশ্রা এবং অধিকর্তা মোহম্মদ মুসলেমউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.