লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।এই জয়ের জন্য মহিলাদের সক্রিয় ভূমিকা চাইলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রদেশ বিজেপির মহিলা মোর্চার উদ্যোগে বিদুষী মহিলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের প্রতি এই আহ্বান রাখেন। বুধবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা।তিনি বলেন,দেশের মহিলাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য একের পর এক কল্যাণকামী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে রাজ্যের মা-বোনদের সুবিধার জন্য বর্তমান সরকার নানা কর্মসূচি নিয়েছে।এদিন এসব কর্মসূচির মধ্যে বেশ কয়েকটির উল্লেখও করেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য তেত্রিশ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে।২০১৮ সালে রাজ্যে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪,১০০টি, তা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৯,৬৭২টি। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার মহিলা উপকৃত হয়েছেন।২৬,৫৫৮টির বেশি স্বসহায়ক দলকে ২৩৭.৮৬ কোটি টাকা কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফাণ্ড হিসাবে দেওয়া হয়েছে।১৮,৪৪৮টির বেশি স্বসহায়ক দলকে ২১.১৩ কোটি টাকার রিভলভিং ফাণ্ড দেওয়া হয়েছে।মহিলাদের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সব কলেজে মহিলাদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।সেই সঙ্গে রাজ্যে প্রায় ৫৫ হাজার ছাত্রীদের বিনামূল্যে বাই সাইকেল দেওয়া হয়েছে।জননী সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় ১.৯ লক্ষের বেশি মহিলার বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকাকরণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে প্রায় আড়াই লক্ষ মা এবং প্রায় সমসংখ্যক শিশুদের বিনামূল্যে টিকাকরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনায় এক লক্ষের বেশি গর্ভবতী মা ও মাতৃদুগ্ধদানকারী মায়েদের পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত সারা দেশে ৭২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আর প্রধানমন্ত্রী এই নয় বছরে নতুন করে ৩৯০টি চালু করেছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক জাতীয় সড়ক, নতুন রেলপথ সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। সেই সঙ্গে অ্যাক্ট ইস্ট নীতি গ্রহণ করে উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়ন করেছেন।এর ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যের আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর পূর্ব ভারতের সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দর রাজ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশের দ্রুততম ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এ রাজ্যে। সব মিলিয়ে সারা দেশের সঙ্গে এই নয় বছরে রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসন জয় করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে আহ্বান রাখেন তিনি । এইলক্ষ্যে তিনি রাজ্যের মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে আহ্বান রাখেন।মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত,প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝর্না দেববর্মা, রাজ্য শিশু কল্যাণ পরিষদের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত রাজ্যের তাঁতশিল্পী স্মৃতিরেখা চাকমা প্রমুখ।এদিনের এই সম্মেলনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীরা উপস্থিত ছিলেন।‘রাজ্যের তাঁতশিল্পী স্মৃতিরেখা চাকমা তার কাজের দক্ষতা এবং প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করার জন্য ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতির সম্মানে ভূষিত হন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.