সাপ্তাহিক কর্মসূচিতে দুরারোগ্য রোগীদের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 সাপ্তাহিক কর্মসূচিতে দুরারোগ্য রোগীদের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের মানুষের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সাপ্তাহিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারও মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমস্যাপীড়িত মানুষের কথা শুনেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী এদিনও দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় গরিব অংশের মানুষের আবেদনে সাড়া দেন। এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাদের অভাব, অভিযোগ ও নানা সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে ছুটে আসেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসা সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।মুখ্যমন্ত্রী তাদের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে এদিন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত মোহনপুর ভাটি ফটিকছড়ার বাজালঘাটের বাসিন্দা রমা সরকার তার স্বামীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। রমা
সরকার মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।প্রতি ২১ দিন অন্তর তাকে ব্যয়বহুল ইঞ্জেকশন নিতে হয়, যা স্বামীর পক্ষে ব্যবস্থা করা অনেকটাই কষ্টকর।মুখ্যমন্ত্রী তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রগুলি দেখে রমা সরকারের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।সিধাই মোহনপুরের দক্ষিণ তারানগরের বাসিন্দা দীপক দাস।তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।তার দুই কন্যা সন্তান দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন।বর্তমানে দু’জনই জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মুখ্যমন্ত্রী তাদের এই অবস্থার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। নলছড়ের বাসিন্দা খোকন দাস কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত।তার ২৩ বছরের ছেলে প্রশান্ত দাসের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্জি নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। চিকিৎসকরা প্রশান্তকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমানে তার ডায়ালিসিস চলছে রাজ্যের একটি বেসরকারী হাসপাতালে।মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন আগরতলার লঙ্কামুড়ার বাসিন্দা বিশু নমঃও তার স্ত্রী লক্ষ্মী নমঃ তাদের ১১ বছরের পুত্র সন্তান অর্জুন নমঃর চিকিৎসার জন্য। অর্জুন কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকরা অর্জুনের অপারেশন করার কথা বলেছেন, যা ব্যয়বহুল। মুখ্যমন্ত্রী প্রশান্ত এবং অর্জুন উভয়ের চিকিৎসার কাগজপত্রগুলি দেখেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। তাছাড়া বৃহস্পতিবার বাধারঘাট শ্রীপল্লীর লক্ষ্মী সাহা, রামনগরের রুবি সরকার, পশ্চিম প্রতাপগড়ের কবিরাজ টিলার বাসিন্দা উমা দে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা প্রত্যেকেই তাদের স্বামীর চিকিৎসায় সাহায্যের আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। এছাড়াও কৃষ্ণনগর নাজিরপুকুরের বাসিন্দা শান্তি দেববর্মা এসেছিলেন তার স্বামী হরেন্দ্র দেববর্মার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে।
মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রত্যেকের সমস্যার কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাহায্যের আর্জি নিয়ে আসা জনগণের সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিস বসু, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, জিবি হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.