জুলাইয়ে চালু হতে পারে কসবা সীমান্তহাট।
অনলাইন প্রতিনিধি || কসবা সীমান্তহাট আবারও চালু করতে চাইছে দুই দেশের পরিচালন কমিটি। তারা চাইছেন আগামী জুলাই মাসে হাটে পণ্য বেঁচা শুরু করতে।করোনা অতিমারিতে এই হাট প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিল। এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাটের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও জলের লাইন। কয়েক বছর অব্যবহৃত থাকায় জন্মেছে গাছপালা। গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের আধিকারিকরা হাট ঘুরে দেখেন।এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম এবং ভারতের ত্রিপুরার প্রকৌশলী এ দেবনাথ, সব্যসাচী দেবনাথ, বিশালগড় থেকে বিডিও অনুরাগ সেন, প্রকৌশলী অরিন্দম ভট্টাচার্য, মনজিৎ দাস ও বিএসএফ কোম্পানি কমাণ্ডার সুরেন্দর সিংহ প্রমুখ।হাটের অবকাঠামোসহ অন্য যা ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করেছেন যৌথ দল।উপযোগী করে শীঘ্রই হাট পরিচালনা কমিটির বৈঠক হবে- বলেছেন,কসবার ইউএনও। তিনি জুলাইয়ের মধ্যেই হাট চালু করার আশা প্রকাশ করেন।দুই দেশের ২০৩৯ সীমান্ত পিলারের কাছে কসবার তারাপুর এবং ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার কমলাসাগর এলাকায় সীমান্ত হাট তৈরি করা হয়েছিল।দুই দেশের সমপরিমাণ এক একর ৫০ শতক জায়গায় বসে হাট। প্রত্যেক রবিবার দুই দেশের ২৫ জন করে ব্যবসায়ীরা দোকান নিয়ে বসেন। ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।সে সময় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে এই হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।ওই বছরের ১১ জুন থেকে সপ্তাহের একদিন এ হাট বসে। করোনার প্রভাবে ২০২০ সালের ১১ মার্চ হাটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আবারও হাটে পণ্য বেচা চালু করতে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ।