বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে ফের বৃষ্টির জল, অব্যবস্থা, দুর্ভোগ।
অনলাইন প্রতিনিধি || রবিবার বৃষ্টিতে আগরতলা এম বি বি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে আবারও ব্যাপকভাবে বৃষ্টির জল পড়েছে। দেড় বছর আগে নির্মাণের সময় অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবনের উপরের ছাউনি বিশেষ ধরনের টিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন একটু জোরে বৃষ্টি হলেই টার্মিনাল ভবনজুড়ে এখানে – সেখানে বৃষ্টির জল পড়ছে। বৃষ্টির জলে বিমান যাত্রীদের গায়ে ‘ও লাগেজে পড়ায় যাত্রীরা বিস্মিত। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বৃষ্টির জল পড়েছে ইন্ডিগোর টিকিট বুকিং কাউন্টারেও। ইন্ডিগোর পুরো কাউন্টারের উপর যেভাবে বৃষ্টির জল পড়েছে তা অবাক করে দেওয়ার মতো। কাউন্টারের যন্ত্রাংশ রক্ষা করার জন্য কাউন্টের উপর সিলিংয়ে বড় আকারের পলিথিন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এর ক’দিন আগেও বৃষ্টির জল পড়েছিল ইন্ডিগোর কাউন্টারে। তখন ইন্ডিগোর অসহায় কর্মচারীরা ছাতি ধরে কাউন্টারের টিকিট বুকিং কম্পিউটার সহ অন্যান্য মূল্যবান যন্ত্রাংশ কোনওভাবে রক্ষা করে ছিলেন। বিস্ময় ও পরিতাপের ব্যাপার হলো কেন্দ্রীয় সরকারের এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইণ্ডিয়া দপ্তর দক্ষিণ ভারতের নাগার্জুন নামে একটি নির্মাণ সংস্থাকে দিয়ে আন্তর্জাতিক এই টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করায়। দরপত্র অনুযায়ী এই নির্মাণ সংস্থা টার্মিনাল ভবন নির্মাণের কাজ করার বরাত পায়। টার্মিনাল ভবন নির্মাণের সময়ই নিম্মমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এয়ারপোর্ট অথরিটি গোপন বিস্ময়জনক কারণে সেই সময় নীরব ছিলেন।আর এখন তারই খেসারত দিতে হচ্ছে বিমান যাত্রী, বিমান সংস্থার কর্মচারীদের।শুধু তাই নয়, অভিযোগ এই নির্মাণ সংস্থা যাত্রী পরিষেবায় বৈদ্যুতিক সিঁড়ি, লিফট আরও অন্যান্য সামগ্রী নিতে সরবরাহ করায় সেই সামগ্রীগুলিও ক’দিন পরপর অচল হয়ে পড়ছে। তাতে যাত্রীরাও এই সব পরিষেবা সব সময় না পেয়ে চরম বিরক্ত। নিম্নমানের এই ক্রয় বাণিজ্যের কারণে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বদনাম হচ্ছে। কিন্তু এই সব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নীরবতা পালন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।এই সব নিয়ে তদন্ত হলে কেঁচো খুড়তে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে পড়বে বলেও ধারণা বিমানবন্দর সূত্রের।প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, অল্প কয়েক দিন আগে এয়ারপোর্ট অথরিটি নতুন টার্মিনাল ভবন চালুর পর আচমকা যাত্রীর পকেট কাটতে যাত্রী পরিষেবা ফিস বাবদ ২৩৩ টাকা থেকে এক লাফে ৭৯৭ টাকা বৃদ্ধি করে দেয়। বিমান টিকিট কাটার সময় এই ফিস ধরে টিকিটের মূল্য নেওয়া হয়।