কেন্দ্রে ফের মোদি সরকার : রাজীব।
অনলাইন প্রতিনিধি || দেশে মোদির নেতৃত্বে ফের একবার বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলছে।এখানে কোনও প্রশ্ন আসতে পারে না।২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে যে বিশাল সংখ্যা একক ক্ষমতায় নিয়ে সরকার এসেছে তা এবার রেকর্ড গড়তে চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আজ সাব্রুম জনজাতির মোর্চার কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনভাবেই মন্তব্য করেন রাজ্য প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ মিনিট ভাষণে প্রদেশ সভাপতি বলেন, গত তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট করে বলেছিলো বিজেপি নাকি সিঙ্গল ডিজিট পাবে না আর যারা এই কথা বলেছে তারা রাজ্যের বিরোধী দলের তকমাটা পর্যন্ত হারিয়েছে। পাশাপাশি তাদের জোট সঙ্গী কংগ্রেস আজ সিঙ্গল ডিজিটে আছে। কত অপপ্রচার ‘আইয়া পরতাছি’ বলে সাব্রুম থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত বাতাস গরম করেছে। কিন্তু বাস্তবে কী হলো বিজেপি পূর্ণ – বহুমত নিয়ে ডা. মানিক সাহার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যের মধ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।আঠারো সালে প্রথমবারের মতো এই রাজ্যের মধ্যে বিজেপি এবং আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পরে পাহাড়ের মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।কোন্ রাজনীতি করা হয়নি। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ উপজাতিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাসন প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ পরিষেবা দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যক্তির ঘরে এই সরকার পৌঁছে দিয়েছে।প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন,এই রাজ্যের মধ্যে একটানা পঁচিশ বছর সিপিআইএম ক্ষমতায় ছিলো। এরা উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল উন্নয়ন কি করেছে? এরা কেবল বিভেদের রাজনীতি করেছে। জুমিয়াদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা এরা গিলে খেয়েছে।কেন এত বছর রাজত্বে থাকার সুবিধা এদের ঘরে জল, বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংযোগ বাম সরকার করেনি। উপজাতিদের বুঝতে হবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চলে জনজাতিদের অর্থনৈতিক বিকাশে কাজ করে চলছে।বিধানসভা ভোটে দলের প্রার্থী অল্প ভোটে সাব্রুম কেন্দ্রে হেরেছেন ঠিক কিন্তু আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি সাক্রম কেন্দ্র থেকে পাঁচ হাজারের অধিক ভোট দলের প্রার্থী লিড দিতে হবে বলে দলের কার্যকর্তাদের জানিয়ে দেন। আজ হলভর্তি সভায় প্রদেশ সভাপতি নাব্রুমের জনগণকে একটি খুশির বার্তা দিয়ে বলেন যে, চলতি বছরের মধ্যে মৈত্রী সেতু খুলে যাচ্ছে। তার সাথে আরও বহু প্রকল্পের কাজ সাব্রুমে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া জনজাতি মোর্চার সাব্রুম মণ্ডলের সভাপতি যুব নেতা বাপ্পি রাজ ত্রিপুরা এবং জেলা সভাপতি শংকর রায় বক্তব্য রাখেন। তাছাড়া দক্ষিণ জেলার বিজেপির কার্যকর্তা দ্বীপায়ন চৌধুরী, শান্তিপ্রিয় ভৌমিক, তাপস লোধ সহ একাধিক জেলার নেতারা আজ উপস্থিত ছিলেন ৷