২৯ জুন থেকে আগরতলা-শিলচর সপ্তাহে দুদিন বিশেষ ট্রেন।

 ২৯ জুন থেকে আগরতলা-শিলচর সপ্তাহে দুদিন বিশেষ ট্রেন।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || আগরতলা- শিলচর, শিলচর-আগরতলার মধ্যে জন শতাব্দী এক্সপ্রেসের চলাচল শুরু হবে। ২৯ জুন সকাল থেকে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে আগরতলা থেকে। বিকালে শিলচর থেকে ফিরতি যাত্রা করবে ট্রেনটি। সপ্তাহে দুদিন বৃহস্পতিবার ও শনিবার উভয় দিক থেকে চলাচল করবে এই ট্রেন। আপাতত অবশ্য বিশেষ গ্রীষ্মকালীন ট্রেন হিসাবে পাঁচ সপ্তাহ চলাচলের বিষয়টি স্থির হয়েছে। কাগজপত্রে অবশ্য জন শতাব্দী এক্সপ্রেস হিসাবে এর চলাচল শুরু হবে না। রেল সূত্রের বক্তব্য, পর্যাপ্ত যাত্রী হলে নিয়মিতভাবে উল্লিখিত জন শতাব্দী এক্সপ্রেসের চলাচল শুরু হবে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন হিসাবেও চলাচল করতে পারে। মূলত আর্থিক লাভের কথা মাথায় রেখে এই প্রক্রিয়া জারি থাকতে পারে বলে খবর।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে অবশ্য ২৯ জুন থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভিস্তাডোম কোচ সহ আগরতলা-শিলচরের উভয় দিক থেকে বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের কথা জানানো হয়েছে। সীমান্ত রেলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতি ও শনিবার ০৫৬৯৫ নম্বর বিশেষ ট্রেন সকাল ছয়টায় আগরতলা থেকে শিলচরের উদ্দেশে যাত্রা করবে। সাড়ে পাঁচ ঘন্টা যাত্রা শেষে শিলচর পৌঁছবে বেলা সাড়ে ১১টায়। ফেরা যাত্রায় ০৫৬৯৬ নম্বর বিশেষ ট্রেন শিলচর থেকে ছাড়বে বিকাল চারটা পঁয়ত্রিশ মিনিটে। সাড়ে পাঁচ ঘন্টা যাত্রা শেষে রাত দশটা পাঁচ মিনিটে পৌঁছবে আগরতলায়। ট্রেনটি আগরতলা-শিলচরের মাঝখানে উভয় দিকের যাত্রায় মোট পাঁচটি স্টেশনে বিরতি দেবে।এর মধ্যে ত্রিপুরার আমবাসা ও ধর্মনগর সহ আসামের নিউ করিমগঞ্জ, বদরপুর জংশন এবং অরুণাচল জংশন স্টেশন রয়েছে। ট্রেনটিতে জন শতাব্দীর মতো একটি এসি চেয়ার কার, একটি ভিস্তাডোম কোচ এবং চারটি সাধারণ চেয়ার কার সহ মোট আটটি কোচ থাকবে।প্রাপ্ত খবর অনুসারে সাধারণ চেয়ার কারে ভাড়া পড়বে প্রায় ১৫০ টাকা যাত্রীপিছু। এসি চেয়ারকারে প্রায় ৩৫০ এবং ভিস্তাডোম কোচে ভাড়া পড়বে প্রায় ১১০০ টাকা। সূত্রের বক্তব্য, ২০২১ সাল থেকে দেশে প্রায় সব ট্রেনই বিশেষ ট্রেন হিসাবে চলাচল করছে।এই সময় থেকে নিয়মিত ট্রেন চলাচল নতুন করে চালুর নজির প্রায় নেই। কারণ বিশেষ ট্রেনে ভাড়ায় কোনও ধরনের ছাড়ের সংস্থান নেই। ভাড়াও নিয়মিত ট্রেনের তুলনায় কিছুটা রাখা হয়। ফলে রেলের আয় বাড়ে।এই কারণেই আগরতলা-শিলচর, শিলচর-আগরতলার মধ্যে কাগজেপত্রে নিয়মিতভাবে জন শতাব্দী এক্সপ্রেস চালুর কথা বলা হয়নি। পরিবর্তে গ্রীষ্মকালীন যাত্রীচাপ কমানোর লক্ষ্যে বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর কথা বলা হয়।এই ট্রেনের সঙ্গে কিন্তু যুক্ত হবে জন শতাব্দীর কোচই। সেদিক থেকে বিশেষ এক্সপ্রেসের নামে আসলে চলাচল করবে দ্বি সাপ্তাহিক জন শতাব্দী এক্সপ্রেস। পরে ধাপে ধাপে এর চলাচলের বাড়ানো হবে অন্য বহু বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.