কৃত্রিম মিষ্টি ক্যানসারের সম্ভাব্য কারণ, ঘোষণা করতে চলেছে ‘হু’
বিশ্বে নরম পানীয়, চুইংগামসহ অন্য সব খাদ্যপণ্য তৈরিতে ‘অ্যাসপার্টাম’ নামের যে কৃত্রিম মিষ্টি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়, তাকে শরীরে ক্যানসার সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু। চলতি মাসেই মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করতে চলেছে হু। সংস্থাটির এমন ঘোষণার পর বাজারে নরম পানীয়, চুইংগাম থেকে শুরু করে নানাবিধ কৃত্রিম মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্যের বাজারে প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। হু-এর এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেপসি, কোকের মতো বহুজাতিক নরম পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি দাবি করে থাকে যে, তাদের পণ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান নেই। তবে ক্যানসারের গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি)। আন্তর্জাতিক এ স্বাস্থ্য সংস্থাটির এই ইউনিট সাম্প্রতিক এক গবেষণায় নতুন তথ্য পাওয়ার দাবি করে। তাদের দাবি, ‘অ্যাসপার্টাম’ নামের এই কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে কোকা-কোলা ডায়েট সোডা থেকে শুরু করে মার্স এক্সট্রা চুইংগাম এবং স্ন্যাপেল ড্রিংক হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন স্বাদের কিছু বোতলজাত পানীয় ( ফল ও স্বাদযুক্ত
চা অন্যতম) তৈরি করা হয়। এবারই প্রথমবারের মতো আইএআরসির কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টেমকে মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টিকারী সম্ভাব্য উপাদান হিসেবে তাই খুব শীঘ্র ঘোষণা করতে চলেছে। আইএআরসির বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চলতি মাসের শুরুতে একটি বৈঠকে বসেন। সেখানেই কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টেমকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী সম্ভাব্য উপাদান হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।তবে একজন মানুষ সম্ভাব্য ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান কতটুকু পর্যন্ত খেতে বা পান করতে পারেন,সে তথ্য জানায়নি আইএআরসি।এ বিষয়ে মতামত দিয়ে থাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর এক সহযোগী সংস্থা জেইসিএফএ।সংস্থাটি ১৯৮৩ সাল থেকে বলে আসছে,একজন মানুষ সীমিত পরিমাণ অ্যাসপার্টাম গ্রহণ করতে পারেন। তবে জানা গেছে, আইএআরসির পাশাপাশি জেইসিএফএ চলতি মাসে অ্যাসপার্টাম নিয়ে নতুন করে মতামত প্রকাশ করবে। এর আগেও অন্য খাদ্য পণ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আইএআরসি।সংস্থাটির এমন ঘোষণার পর বাজারে এর বড় প্রভাব পড়েছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যে ব্যবহৃত উপাদান পরিবর্তন করতে পর্যন্ত বাধ্য হয়।