মন্ত্রীকে ঘুমে রেখে বাঁকাপথে জলাশয় লিজ দেওয়া হচ্ছে!!

 মন্ত্রীকে ঘুমে রেখে বাঁকাপথে জলাশয় লিজ দেওয়া হচ্ছে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্যের মৎস মন্ত্রীকে ঘুমে রেখে অমরপুর মৎস দপ্তরের চুক্তি খেলাপি ঋনী সংস্থাকে বাকা পথে বাষট্টি কানির জলাশয় অমরসাগর দিঘির মাছ লুটেপুটে খাওয়ার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে অতি সন্তর্পণে। এর আগে দরপত্র আহ্বান করে চুক্তি খেলাপি আড়াই লাখ টাকা ঋনী সংস্থাকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে লিজ প্রদানের প্রচেষ্টায় আদালতে কানমলা খাওয়ার ভয়ে, প্রায় এক বছর ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুরো দরপত্র প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দিয়েছিলেন দপ্তরের অধিকর্তা। ফলে বাষট্টি কানির জলাশয় অমরসাগর দিঘিটির নিয়ন্ত্রণ বিগত দুই বছর ধরে অমরপুর মৎস দপ্তরের বকলমে রাতারাতি জামা ও রং পাল্টানো রাষ্ট্রবাদীদের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে। জানাগেছে, গত বুধবার গোমতী জেলা সদরে দপ্তরের সভায়, মৎস মন্ত্রীর নিকট প্রকৃত তথ্য গোপন করে অমরসাগর দিঘির মাছ লুটেপুটে খাওয়ার রাস্তা পাকা করে নেওয়া হয়েছে।


বর্তমানে অমরসাগর দিঘিতে প্রকাশ্যেই দিনে এবং রাতে পালা করে মাছ লুট চলছে বিনা বাধায়। বাম আমলে বাষট্টি কানির  অমরসাগর জলাশয়টি মৎস দপ্তর অমরপুর মৎসজীবি সমবায় সমিতি নামক একটি সংস্থার নিকট লিজ দিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু সেই রাজস্ব আয়ে সরাসরি টান পড়েছে রাজ্য তথাকথিত বিকাশমুখী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে। অনাথ হয়ে যায় অমরসাগর জলাশয়। তথাকথিত বিকাশমুখী সরকারের মৎস দপ্তরের আমলা কামলাদের অতিরিক্ত  দলদাসগিরির কারণে অমরসাগর দিঘিটির আজ চরম দুরাবস্থা। রাজনৈতিক হুঁকোয় তামাক খাওয়া, পদলোভী আমলারা নেতাদের তৈল মর্দন করতে গিয়েই বিগত দুই বছর ধরে বাষট্টি কানির জলাশয়টি লিজ প্রদানে ব্যর্থ। ফলে গত দুই বছর ধরে অমরসাগর দিঘি থেকে রাজস্ব আয় শূন্যের কোঠায়। আবার আগের বকেয়া রাজস্ব আড়াই লক্ষ টাকা আদায় করতেও পুরোপুরি ব্যর্থ অমরপুর মৎস দপ্তরের দলদাস আমলারা। মৎস কর্তাদের অতিরিক্ত দলদাসগিরির কল্যাণেই গত দুই বছর ধরে অমরপুরের মানুষ স্বল্প মূল্যে অমরসাগরের তরতাজা মাছের স্বাদ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন। অভিযোগ, সেই ঋণ খেলাপি সংস্হাটিকেই ফের জলাশয় লিজ দেওয়ার পক্রিয়া চলছে। এতে জনমনেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.