মারতে হবে কষিয়ে থাপ্পড়, অভিনব খেলায় মেতেছে পাকিস্তান।

 মারতে হবে কষিয়ে থাপ্পড়, অভিনব খেলায় মেতেছে পাকিস্তান।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

পাড়ার দুটি মানুষের মধ্যে ঝগড়া হাতাহাতিতে পৌঁছলে একে-অপরকে প্রথমেই থাপ্পড় মারতে উদ্যত হয়। এটাই আবহমান কালের নিয়ম। মানুষের ঝগড়ায় ‘থাপ্পড়’ অতি পরিচিত শব্দবন্ধ হলেও এমন কোনও স্বীকৃতি খেলা নেই যেখানে প্রতিপক্ষকে কষিয়ে থাপ্পড় মারার সংখ্যার উপর নির্ভর করবে জয়-পরাজয়। স্বীকৃতি চুলোয় যাক, পাকিস্তানে এমনই এক ধরনের খেলা ইদানীং জয়প্রিয় হয়ে উঠছে।তবে বক্সিং বা কুস্তির মতো ছোট বৃত্তের মধ্যে এই খেলা প্রতিযোগীরা খেলছেন না, বরং খেলছেন কাবাডির কোর্টে। বলা হচ্ছে, এটিও এক ধরনের কাবাডি। সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে দশাসই চেহারার দুটি পুরুষের মধ্যে কষিয়ে থাপ্পড় মারার একটি খেলা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খেলার ধরন দেখে নেটিজেনদের মধ্যে হাসির রোল উঠেছে। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। এমনিতে কাবাডি ভারতীয় উপমহাদেশে অতি জনপ্রিয় একটি খেলা। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাবাডি খেলার বিশ্বস্তরে ঘোরাফেরা করে। অদ্ভুত এই খেলাটির নাম ‘থাপ্পড় কাবাডি’। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, দুই প্রতিযোগীর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন চড়-থাপ্পড়ই এই খেলার বিবেচ্য। থাপ্পড়ের বদলে ভুল করে ঘুষি মেরে দিলেই ওই খেলোয়াড়কে তৎক্ষণাৎ খেলা থেকে বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।খেলা হয় দুই আদুড় গায়ের প্রতিযোগীর মধ্যে। অন্যের সীমানায় ঢুকে একে-অপরকে লাফিয়ে লাফিয়ে সপাটে থাপ্পড় কষান। বিবিসি এই উল্লেখ করেছে। প্রচলিত কাবাডি খেলায় একটি দলে সাত জন সদস্য থাকেন। কিন্তু এই খেলা হয় মূলত দুই কুস্তিগিরের মধ্যে। পাকিস্তানে থাপ্পড় কাবাডির অন্যতম খেলোয়াড় হাজি তাসাউরের একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করেছে বিবিসি।তাসাউর জানিয়েছেন, স্ল্যাপ কবাডিতে দুই কুস্তিগিরকে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামতে হয়। খেলা চলাকালীন এক প্রতিপক্ষকে অপর প্রতিপক্ষের বুকে, গালে চড় কষাতে হয়। চড় কষালেই পয়েন্ট পাওয়া যায়। যত চড়, ততই বাড়তে থাকে পয়েন্ট। যত ক্ষণ না এক জন হাল ছেড়ে দেন তত ক্ষণ খেলা চলতে থাকে।প্রশ্ন হল, একজন তার প্রতিপক্ষকে কত বার চড় মারতে পারেন? তাসাউর জানিয়েছেন, এক জন চাইলে প্রতিপক্ষকে যত খুশি চড় মারতে পারেন। কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই। তাসাউর জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তথাকথিত কবাডির তুলনায় এই থাপ্পড কাবাডি বেশি জনপ্রিয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.