স্কুলগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি ৫১৫৫ গত পাঁচ বছরে নিয়োগ ৬৭৬৬ : মুখ্যমন্ত্রী।

 স্কুলগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি ৫১৫৫ গত পাঁচ বছরে নিয়োগ ৬৭৬৬ : মুখ্যমন্ত্রী।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য শিক্ষার পরিকাঠামো এবং শিক্ষক দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ত্রয়োদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনের প্রথম পর্বে এসব বিষয় নিয়ে বিরোধী এবং সরকার পক্ষ ঘন্টাখানেকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেছে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের সরকারী বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকস্বল্পতা দূরীকরণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে কলিং অ্যাটেনশন নোটিশে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, শিক্ষা কাঠামো এবং শিক্ষক দুটিই অত্যন্ত জরুরি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে কিছু শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। তা স্বল্পতার একটি কারণ। স্বল্পতার জন্য ১০,৩২৩ শিক্ষকের নিযুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা স্কুলগুলিতে বিভিন্ন স্তরে শিক্ষকের ঘাটতির চিত্রও মেলে ধরেন। সে অনুযায়ী অস্নাতক শিক্ষক ১৬১৫, স্নাতক শিক্ষক ১৬৪৩, স্নাতক শিক্ষক ১২৩৯ (নবম ও দশম শ্রেণী), বিষয় শিক্ষক ৫৪৬ এবং ১১২ জন স্পেশাল এডুকেটরের ঘাটতি রয়েছে। সব মিলিয়ে স্কুলগুলিতে ৫ হাজার ১৫৫ জন বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা জানান, চলমান প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকার প্রতি বছর নতুন শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে। টিআরবিটি নিয়মিতভাবে টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টি-টেট) নিচ্ছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের মাধ্যমে দপ্তর অস্নাতক শিক্ষক এবং স্নাতক শিক্ষক নিয়োগ করছে। তাছাড়া মাধ্যমিক স্তরের স্নাতক শিক্ষক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিষয় শিক্ষকের জন্য টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারের মতো স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ করা হয়েছে গত বছর। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন স্তরে ৬ হাজার ৭৬৬ জন বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে অস্নাতক শিক্ষক ১০৬২ জন, স্নাতক শিক্ষক (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী) ৩৭০১ জন, স্নাতক শিক্ষক নবম ও দশম শ্রেণী) ১৪৭১জন, বিষয় শিক্ষক ৪৪৪ জন এবং স্পেশাল এডুকেটর ৮৮ জন রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আর্থিক সংস্থানের উপর নির্ভর করে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগ হয়। ফি বছর শিক্ষক নিয়োগের ফলে সরকারী বিদ্যালয়গুলির মধ্যে একজন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত স্কুল এখন আর নেই। বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরে ২৩০টি পদের জন্য স্নাতক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (এসটিজিটি) নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২৩০টি পদের সংরক্ষণের উপর একটি মামলার রায়ে প্রচলিত সিদ্ধান্তের ফলে এ মর্মে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ধারাবাহিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরে শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস করা যাবে। এদিন বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকের স্বল্পতা নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে জানতে চান বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা, বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়, বিধায়ক রামু দাস সহ আরও বেশ কয়েকজন। বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা বলেন, ১ জন শিক্ষক পরিচালিত স্কুল নেই তা স্বস্তির বিষয় হলেও শিক্ষকস্বল্পতা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তির বিষয়ও রয়ে গেছে। তিনি বলেন,২ থেকে ৩ জন শিক্ষক দিয়ে তিন শতাধিক ছাত্র ছাত্রীর স্কুল চলছে। এমন কিছু ঘটনা তার নজরে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.