আইনি জটিলতায় আটকে আছে স্নাতক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।

 আইনি জটিলতায় আটকে আছে স্নাতক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- উচ্চ আদালতের রায়ে সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টির ফলেই স্নাতক শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা যায়নি। বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিনে এসটিজিটি মাধ্যমে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কলিং এটেনশন নোটিশের প্রক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী এবং ইসলাম উদ্দিনের যুগ্ম নোটিশের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত ২০২২ ইং সালে স্নাতক শিক্ষকের ২৩০টি শূন্যপদ (এসটি ১৭২, এসসি ২৯ এবং অসংরক্ষিত ২৯) -এর জন্য টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, ত্রিপুরা (টিআরবিটি) পরীক্ষা নেয়। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি। এখানে উল্লেখ্য যে, বিগত বছরগুলিতে সংরক্ষিত শূন্যপদে উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ার ফলেই সংরক্ষিত শূন্য পদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ইতিমধ্যে শূন্যপদের সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে একটি মামলা হয় এবং এই ( মামলার রায়দানে উচ্চ আদালত নির্দেশ দেন যে সংরক্ষিত পদ কোনওভাবে ৫০% বেশি হতে পারবে না। পরবর্তীতে, উচ্চ আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিনটি মামলায় ২০২০, ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সংরক্ষণ করা হয়েছিল তা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়। সেসব মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও উচ্চ আদালত নতুনভাবে নিয়োগ তালিকা পুনর্নির্ধারণের জন্য রায় দেয়। এ ব্যাপারে রাজ্য আইন দপ্তরের সুপারিশমূলে সেই সব মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।২০১৫ সালে ত্রিপুরা টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (টিআরবিটি) গঠিত হয়। তারপর থেকেই এই বোর্ড ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যালয় মধ্যশিক্ষা অধিকারের অধীনে স্নাতক শিক্ষক (Graduate Teacher for IX- X) এর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত শূন্যপদে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা থাকে।চলমান প্রক্রিয়া হিসাবে রাজ্য সরকার প্রতি বছরই নতুন স্নাতক শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে। Teachers’ Recruitment Board, Tripura (TRBT) Selection Test for Graduate Teachers (STGT) এর মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের স্নাতক শিক্ষক (Graduate Teacher IX- X) এর জন্য চাকরি প্রার্থীদের বাছাই শেষে দপ্তরের নিকট বাছাইকৃত প্রার্থী তালিকা পাঠায় এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ করা হয় ।এদিন বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন রাখেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। তিনি বলেন, ২০২২ সালে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তা যাতে বাতিল না হয়ে যায় সে লক্ষ্যে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.