১ যুগ ধরে ক্লান্তিহীন লড়াই ফের তদন্তের নির্দেশ কোর্টের।

 ১ যুগ ধরে ক্লান্তিহীন লড়াই ফের তদন্তের নির্দেশ কোর্টের।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- অপহরণ মামলায় উচ্চ আদালত আরও তদন্ত করার জন্য আরক্ষা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। অপহৃত স্বামীর জন্য ন্যায়বিচার ও অপহরণে যুক্তদের সাজা নিশ্চিত করার জন্য স্ত্রী ও পরিজনদের আইনি লড়াই একযুগ ধরে চলছে। বিগত পাঁচই আগষ্ট, ২০১১ সনে কৈলাসহর থেকে অপহৃত হন আগরতলা নিবাসী আশীষ সোম। ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও অপহৃতকে ছাড়িয়ে আনতে পারেনি পরিজনেরা।আজ অবধি অপহৃতের সুলুকসন্ধান করে উঠতে পারেনি পুলিশ। পুলিশি তদন্তে গড়িমসি ও গাফিলতির বিরুদ্ধে ও স্বামীকে অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধারের জন্য স্ত্রী ২০১৩ সালে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন। রিট মামলার নিষ্পত্তি হয় সেপ্টেম্বর ২০১৫ সনে।উচ্চ আদালত পুলিশকে কার্যকরীভাবে তদন্ত সমাধা করে চার্জশিট দিতে নির্দেশ দেয়। ২০১৬ সনের এপ্রিল মাসে সিআইডির ডিএসপি রণজিৎ চন্দ্র দাস আদালতে তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা দেন ৭ জন আসামী বিরুদ্ধে আইপিসির ১২০ (খ)ও ৩৬৪ ধারায়। অপহরণকাণ্ডের অন্যতম কুচক্র নজীব আলির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি। যদিও ২০১৩ সনে দাখিল করা মামলায় সরকার হলফনামায় উল্লেখ করেছিল, নজীব আলি অপহরণকাণ্ডের অন্যতম আসামি। কিন্তু ঘটনার পর দেশ ছোড়ে বিদেশে চলে যাওয়াতে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অসম্পূর্ণ তদন্তে অসন্তুষ্ট অপহৃতের স্ত্রী শেলী পাল (সোম) নিম্ন আদালতে আবেদন করেন, নজীব আলির যোগসাজশ নিয়ে আরও তদন্ত করার জন্য তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য।কারণ ইতিমধ্যে নজীব আলি রাজ্যে ফিরে এসে বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিম্ন আদালত তদন্তের আদেশ দেবার আবেদন অগ্রাহ্য করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ মহানির্দেশক, পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার ও তদন্তকারী অফিসারের কাছে অপহৃতের স্ত্রী কাতর আবেদন জানান পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত করার জন্য।কেননা ইতিমধ্যে নজীব আলি রাজ্যে ফিরে এসেছে। পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা এক অসহায় স্ত্রীর আবেদনে কর্ণপাত করেননি। যদিও ফৌজদারি কার্যবিধিতে চার্জশিট দেওয়ার পরও পরবর্তী তদন্তে কোন বাধাঁ নেই। ২০২২ সনের ডিসেম্বরে পুনরায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন অসহায় স্ত্রী।ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮২ ধারায় উচ্চ আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ চেয়ে গতকাল উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি ও অরিন্দম লোধ দুই তরফে সওয়ালশেষে প্রদত্ত আদেশে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে নজীব আলির ভূমিকা ও অপরাধের সাথে যোগসাজশ নিয়ে আরও তদন্ত করে চার্জশিট জমা দিতে। মাননীয় উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের আদেশ কে অনুমোদন দেননি।আবেদনকারীর পক্ষে মামলা লড়েছেন বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ, আইনজীবী সমরজিৎ ভট্টাচার্য, কৌশিক ওকুমার চক্রবর্তী।উল্লেখ্য, আন্তঃরাজ্য অপহরণ চক্র আশীষ সোম অপহরণে যুক্ত বলে চার্জশিট বলা হয়েছে। এখন অবধি অপহৃত নিখোঁজ। বিচার এখনও শুরু হয়নি। অপহরণকারীদের শাস্তির প্রশ্নে অপহৃতের পরিজনেরা এক যুগ ধরে ক্লান্তিহীন আইনি যুদ্ধে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.