রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
জলের অভাবে বালিছড়ায় কৃষিকাজ ব্যাহত, দুর্ভোগ।
অনলাইন প্রতিনিধি :- পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে জলের সমস্যা একটি নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিশেষ করে বিভিন্ন পাহাড়ি জনপদগুলিতে বসবাসকারী সাধারণ জনগণ জলের সমস্যা থেকে কোনওভাবেই রেহাই পাচ্ছে না। এমনই ঘটনা আবারও উঠে এলো কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বালুছড়া এলাকা থেকে। সংবাদে প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরেই জলের সমস্যায় নাজেহাল তেলিয়ামুড়া মহকুমা এলাকার কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বালুছড়াবাসী। বলতে গেলে বালুছড়ায় নেই জল। অভিযোগ, একাংশ অবৈধ বালু বিক্রেতার দৌলতে হারিয়ে গেছে ছড়ার নাব্যতা। ফলে ভোগান্তির শিকার সাধারণ জনগণ। তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জুমবাড়ি এবং বালুছড়া এলাকায় এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে জুমবাড়ি এবং বালুছড়া এলাকায় প্রায় শতাধিকের উপর কৃষক পরিবার কৃষিকাজ করে থাকতেন। আর এই কৃষির উপর নির্ভর করেই প্রত্যেকটি পরিবারের জীবনজীবিকাও নির্বাহ হতো। বর্তমানে বন্যহাতির তাণ্ডব প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবং কৃষকদের পানীয় জলের সম্বল এলাকার ছড়ার জল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় পঞ্চাশের অধিক কৃষক পরিবার ওই এলাকায় কৃষির মাধমে জীবনজীবিকা নির্বাহ করার একমাত্র সম্বলটুকু হারিয়ে বিপর্যস্ত। আর এই কৃষিকাজের মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বালুছড়ার জলশূন্যতা। ইদানিংকালে বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এবং সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মূলত বালুছড়ার জল শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, অধিকাংশ কৃষক অভিযোগের সুরে জানায়, বালুছড়া থেকে প্রতিনিয়ত বালু কারবারিরা বালু তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণেই মূলত ছড়াটির নাব্যতা দিনের পর দিন হ্রাস পাচ্ছে। এমনকি ভবিষ্যতে এই বালুছড়ার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া কৃষিকাজের জন্য পর্যাপ্ত জল না থাকায় এলাকার অধিকাংশ কৃষিক্ষেত বর্তমানে শুকিয়ে মাঠ হয়ে গেছে। এই এলাকার অধিকাংশ কৃষক বর্তমানে কৃষিকাজ করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে বালুছড়া এলাকার কয়েক হেক্টর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অবিলম্বে দাবি উঠছে পরিত্যক্ত জমিগুলিকে উর্বর করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা প্রশাসন যেন অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।