মোদি পদবি নিয়ে অবমাননা মামলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাহুল।

 মোদি পদবি নিয়ে অবমাননা মামলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাহুল।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে নিম্ন আদালতের শাক্তির মুখে পড়ে সাংসদ পদ খুইয়েছেন।এরপর হাইকোর্টেও রেহাই মেলেনি। এবার তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কর্ণাটকে গিয়ে একটি প্রচারসভায় অংশ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন সব চোরেদের পদবিই কেন মোদি হয়। এ নিয়ে গুজরাটে মামলা করেছিলেন এক বিজেপি নেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় চার বছর পর গুজরাটের এক নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীর দুই বছরের সাজা শোনান। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।কংগ্রেস দল অবশ্য এর পেছনে রাজনীতি দেখছে।তবে দল এতে লড়াই করবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলো। নিম্ন আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
কিন্তু হাইকোর্ট তার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রেহাই দেয়নি। গত সাত জুলাই গুজরাট হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছিলো।এদিকে সুপ্রিম কোর্টে এদিন গুজরাট হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা ঠোকেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় গত চব্বিশ মার্চ।এর আগে গুজরাটের নিম্ন আদালত তাকে মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে দুই বছরের জেল হাজতবাসের নির্দেশ দেয়।
এদিকে সম্প্রতি গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি রাহুল গান্ধীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছিলেন যে, যারা জনপ্রতিনিধি তাদের অনেক বাকসংযম রাখা দরকার। সুতরাং তার বিরুদ্ধে রায় স্থগিত করার কোনও বিশেষ প্রয়োজন নেই। সুতরাং রায় বহাল থাকার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্চক।তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে অন্তত দশটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত যে দুই বছরের সাজা শুনিয়েছে তা পুরোপুরিই আইনসিদ্ধ। বিচারপতি আরও বলেন,এই অবমাননাকর মন্তব্য করে রাহুল গান্ধী শুধু একজনকে অবমাননা করেননি, গোটা সমাজের অবমাননা করেছেন।রাহুল গান্ধীর কর্ণাটকে করা এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। ২০১৯ সালেই এই মামলা করেছিলেন তিনি। সেই মামলার রায় বের হয় তেইশ মার্চ ২০২৩। রাহুল গান্ধীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯, ৫০০ এই ধারাগুলিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং দুই বছরের সাজা শোনানো হয়।এর ফলেই তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.