রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেটের সাথে মাদকের মূল পাণ্ডা আটক।
অনলাইন প্রতিনিধি :- এবার নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেলো কদমতলা থানার পুলিশ। ঘটনার বিবরণে বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে কদমতলা থানার পুলিশ টহলরত অবস্থায় তারকপুর পঞ্চায়েত অফিসের কাছে পৌছালে পুলিশ দেখে এ এস ১১ এক্স ৬৩১৮ নম্বরের একটি স্কুটি নিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। যুবকের গতিবিধি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ওই স্কুটির পেছনে ধাওয়া করে আধ ঘন্টার দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে তল্লাশি চালালে তার স্কুটির সিটের নিচে একটি বাক্সের ভিতরে থাকা দুটি ছোট জিপ প্যাকেটে চারশো নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে তার পকেট থেকে দুশো ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি গাড়ির চাবি উদ্ধার হয়।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত যুবক জানায়, তার নাম মইনুল মিঞা (বত্রিশ) পিতা মুস্তাকিন আলি, বাড়ি আসামের করিমগঞ্জ জেলার কোকিল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের করখানা পুতনী এলাকায়। আসাম থেকে সে ত্রিপুরায় রপ্তানি / আমদানি ব্যবসা করে।তার ব্যবসায়িক অংশীদার চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আবদুল মান্নান (৬৪) (মোনাই মিঞা) পিতা মৃত আনজির আলি। রাতে সে আব্দুল মান্নানের বাড়ি থেকে আসছিলো।এই বিষয়ে চুরাইবাড়ি থানাকে অবগত করে কদমতলা থানার পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ আবদুল মান্নানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার বসত ঘরের আলনায় কাপড়ের আড়াল থেকে ছয় লাখ সাতানব্বই হাজার আটশো টাকা উদ্ধার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল মান্নানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে কদমতলা থানার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল মান্নান বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের উৎস সম্পর্কে কিছু জানতে পারেনি, অসংলগ্ন কথা বার্তা বলছিল। পরবর্তীতে আব্দুল মান্নানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।অন্যদিকে কদমতলা থানার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক করা গাড়ির চাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে ধৃত মইনুল মিঞা জানায়, তার সাথে একটি এএস ০১ইএল ৩৭৩০ নম্বরের একটি ব্যক্তিগত সুইফট ডিজায়ার গাড়ি রয়েছে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার গুকাল এগারোটায় কমদতলা কালাচাঁদ মন্দির সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে তারকপুর এলাকার নাজিম এবং বিশালগড় দুর্গানগর এলাকার আইনুলের সাথে মাদক চোরাচালানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা সবাই আসাম থেকে নিষিদ্ধ মাদক ক্রয় করে আইনুলের সহায়তায় রাজ্যের বিশালগড় দুর্গানগর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ পাচার করতো। এই কাজে তারা ওই গাড়িটি ব্যবহার করছিলো। এদিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পুলিশ সুপারের সাথে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা, কদমতলা থানার ওসি সুবীর মালাকার ও চুরাইবাড়ি থানার ওসি হরেন্দ্র দেববর্মা। পুলিশ সুপার এই নেশাবিরোধী অভিযানের সাফল্যে প্রথমেই কদমতলা থানার অফিসার ইনচার্জ সুবীর মালাকার সহ থানার পুলিশ কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চুরাইবাড়ি থানাকেও। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক কালোবাজারি মূল্য তিন লাখ টাকা হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এডিপিএস ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে । যার নম্বর ৪৫/২০২৩ কদমতলা থানা।