৪৫ দিন স্পর্শ নয়,ব্যারিকেড পড়ল কল্যাণ সাগরে।
অনলাইন প্রতিনিধি :- নরমুণ্ড উদ্ধারের পর মাতাবাড়ি কল্যাণ সাগরে পড়ল বাঁশের ব্যারিকেড। পবিত্র জল হয়ে গেলো অপবিত্র। আগামী পঁয়তাল্লিশদিন স্পর্শ করা যাবে না দীঘির জল। শাস্ত্রমতে নানা কর্মসূচির পর কল্যাণ সাগরের জল শোধন করে সাধারণ মানুষের জন্য বাঁশের ব্যারিকেড তুলে উন্মুক্ত করা হবে দীঘির জল। গত বুধবার থেকে একান্ন পীঠের এক পীঠ মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কল্যাণ সাগরে উদ্ধার হয় একটি নরমুণ্ড। নরমুণ্ড উদ্ধারের পর থেকেই এই কল্যাণ সাগরের জল যেন কেউ ব্যবহার না করে তা ঘোষণা করা হয়েছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। এদিকে গত বুধবার ভোর বেলা কল্যাণ সাগরে নরমুক্ত ভেসে উঠলে গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তদন্ত শুরু হলো উচ্চপর্যায়ে।কোথা থেকে কল্যাণ সাগরে ভেসে উঠল নরমুণ্ডক। এদিকে নরমুণ্ড ভেসে উঠলে কল্যাণ সাগরের পবিত্র জল হয়ে পড়ে অপবিত্র। তাই মায়ের স্নানের ক্ষেত্রে এই জলের ব্যবহার আর করা হয় না। এমনকী এই জল স্পর্শ করতে বারণ করা হয়েছে গোটা মাতাবাড়ি এলাকার জনগণ সহ সকল পুন্যার্থীদের। দর্শনাথীরা যাতে এই জল স্পর্শ করতে না পারে তাই দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী জানান, মন্দিরের জল বর্তমানে অপবিত্র। জলকে শোধন করতে হবে। আর এই জল শোধন করতে শাস্ত্রমতে রয়েছে বিভিন্ন প্রক্রিয়া। আগামী পঁয়তাল্লিশদিন পরই দীঘির জল শোধন করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে দীঘি থেকে ১০১ কলসি জল নদীতে ফেলা হবে এবং নদী থেকে ১০১ কলসি জল দীঘিতে ফেলে গঙ্গাপূজার মাধ্যমে জল শোধন করা হবে। তারপরই এই দীঘির জল দিয়ে মাকে স্নান করানো হবে।পাশাপাশি সাধারণের জন্যও এই দীঘির জল উন্মুক্ত করা হবে।