গিনেসে নাম তুলতে সাত দিন টানা কেঁদে সাময়িক দৃষ্টি হারালেন যুবক।
কথায় বলে, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক থাকলে প্রতি পদে বিপদের সম্ভাবনা! এই নাইজেরীয় যুবকের ক্ষেত্রে সেটাই হল। সাধ হয়েছিল বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করবেন। নিজের নাম তুলবেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। কত মানুষ, কত বিচিত্র কিছু করেন গিনেসে নাম তোলার জন্য। টেম্বু এবেরে নামের নাইজেরিয়ার ওই যুবক বেছে নিয়েছিলেন একটানা কেঁদে তিনি বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করবেন। কিন্তু সেটাই কাল হল তার। হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, কান্না মানুষের সুখ-দুঃখের প্রাকৃতিক বহিঃপ্রকাশ। অভিনয় করে হয়তো কিছুক্ষণ কাঁদা যায়, তাই বলে একটানা সাতদিন! গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য সাত দিন একটানা কেঁদে যাচ্ছিলেন টেম্বু। জোর করে চোখে জল আনার জন্য নানারকম কলাকৌশলও করেছিলেন।আর তা করতে গিয়েই হঠাৎ ওই যুবক টের পান যে, তিনি সব কিছুই ঝাপসা দেখছেন।বেশ কিছুক্ষণ সময়ের জন্য সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন টেম্বু।পরে চোখের
জ্যোতি কিছুটা ফিরেছে বটে, তবে তিনি আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। টেম্বুকে নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়েছে, কে দীর্ঘতম সময় কাঁদতে পারেন, তা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা চলছিল।সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ওই নাইজেরীয় যুবক।সেই প্রতিযোগিতার নাম ছিল ‘ক্রাই- এ-থন’। তিনি পরে বিবিসিকে জানান, ভীষণ কষ্ট করে কাঁদার পরে ৪৫ মিনিটের জন্য তিনি কিছু দেখতে পাননি। চোখ ফুলে গিয়েছিল তার। মাথাতেও অসম্ভব যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন অবশ্য সুস্থই রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টেম্বুর চোখের দৃষ্টিশক্তি আংশিক নষ্ট হয়ে গেছে।দৃষ্টশক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার পরেও হাল ছাড়তে রাজি হননি টেম্বু। তিনি জানিয়েছিলেন কৌশল বদলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা, তার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে জানিয়ে দেন যে, তাকে ওই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।টেম্বু দাবি করেন,তিনি একজন কৌতূকাভিনেতা।
‘টাউনক্রায়ার’ ব্যবহারকারীর নামে টিকটকে তিনি নিয়মিত নকল কান্নার ভিডিয়ো পোস্ট করেন। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে কিছু দিন আগেই হিলসা বাসি নামে এক মহিলা টানা ১০০ ঘণ্টা ধরে রান্না করে গিনেস বুকে নাম তুলতে চেয়েছিলেন।