৯১ বছর বয়সেও বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় জয়ী জিম।
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা জিম আরিংটনের কাছে বয়স নিছকই একটা সংখ্যা। ৯১ বছর বয়সেও পেটে তার ‘সিক্স প্যাক’। নবতিপর বয়সেও তার পেশিবহুল, সুঠাম চেহারা যে কোনও তরুণকে লজ্জা দিতে পারে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট বলছে, ২০১৫ সালে নিজের ৮৩ বছর বয়সে বিশ্বের প্রবীণতম সক্রিয় বডিবিল্ডার হিসাবে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেন তিনি। আশ্চর্যের ঘটনা হল, তার পরেও তার শরীরচর্চায় ছেদ পড়েনি। বরং দিন যত গড়িয়েছে, নিজের পেশিবহুল শরীরের প্রেমে আরও মরিয়া হয়ে ওঠেন জিম। একের পর দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং পুরস্কার জিততে থাকেন। ৯১ বছর বয়সেও তিনি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।সম্প্রতি আমেরিকার নেভাদার রেনোতে বডিবিল্ডারদের একটি পেশাদার লিগ ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। সত্তরোর্ধ্ব বয়সি পুরুষ বিভাগে তিনি দখল করেন তৃতীয় স্থান এবং আশি-ঊর্ধ্ব পুরুষ বিভাগে জিম আরিংটন দখল করেন প্রথম স্থান। প্রতিযোগিতার পরে এক সাক্ষাৎকারে জিম জানান, গড়পড়তা মার্কিন
নাগরিকদের মতো তিনিও নিজের শরীর নিয়ে খুব একটা খুশি নন। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি গত বছর সর্বশেষ বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় নিজের দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করেন। তখন তার বয়স ছিল ৯০ বছর। পুরস্কার না জুটলেও মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন,এখনই অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা তার নেই। গত বুধবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ প্রকাশিত হয়েছে জিম আরিংটনের একটি সাক্ষাৎকার, সেখানে তিনি বলেছেন, এই বয়সেও কীভাবে নিজেকে তিনি ফিট রেখেছেন। জিম বলেন, ‘তবে এটা ভেবে ভাল লাগে যে, আমার অর্ধেক বয়সি লোকদের চেয়ে আমি বেশি ফিট।’তবে একই সঙ্গে জিম বলেন, ‘নিজের শারীরিক গঠন আমার পছন্দের নয়। কোথায় গিয়ে থামবেন? জিমের উত্তর, ‘স্কাই হ্যাজ নো লিমিট।”সাত দশকেরও দীর্ঘ সময়ের বডিবিল্ডিং কেরিয়ারে জিম প্রতি সপ্তাহে তিন দিন জিমে যান ভারোত্তলন করতে। প্রতি সেশনে তিনি দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করেন। জিম যেখানে ওয়ার্কআউট করেন, সেখানকার এক প্রশিক্ষক বলেন, “উনি বডিবিল্ডিংয়ের লিভিং লেজেন্ড। এই বয়সেও তার ফিটনেস দেখে আমরা তাজ্জব হয়ে যাই।’ গত বছর মেন’স হেলথ ম্যাগাজিনে নগ্ন ছবি প্রদর্শনের জন্য জিম আরিংটনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।এ ঘটনার এক মাস পরে আরিংটনকে নিয়ে হইচই পড়ে যায় কিছু মহলে।