টিসিএতে বহিরাগতদের ভিড়, আতঙ্কিত কর্মীরা।
অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্য ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থায় প্রশাসনিক কাজকর্মে অচলাবস্থা আজ ষষ্ঠ দিনেও বহাল। সৌজন্যে শাসক দলের দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর আভ্যন্তরীণ কোন্দল।এদিকে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সদর দপ্তরে প্রতিদিনই কিছু সংখ্যক অপরিচিত অচেনা লোকের আনাগোনা ও ভিড় বাড়ছে। গত ২০ জুলাই টিসিএ সচিব, সভাপতি সহ অন্যদের শারীরিক ও মানসিকভাবে যারা হেনস্তা করেছিল তাদের মধ্যে অনেককেই নাকি এখন টিসিএ অফিসে আসা যাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের অনেককেই সারাদিনই অফিসে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে বলে এক সূত্রের খবর। এদিকে টিসিএর অফিস স্টাফদের মধ্যে কয়েকজনকে নাকি অফিসে না আসতে
বলা হয়েছে। তাছাড়া অন্যরা যারা আসছে তাদের অফিসেই আটকে রাখা হচ্ছে। কোনওরকম কাজকর্ম করতেও দেওয়া হচ্ছে না।এমনকী তারা যেন অফিসের কোনও কাগজপত্রে বা ফাইলে হাত না দেয় এ নিয়ে পরিষ্কার বলেও দেওয়া হয়েছে।টিসিএর ডিস্কোয়ালিফাই সভাপতি অফিস স্টাফদের নাকি বিভিন্ন রকমভাবেই মানসিক চাপের মধ্যে রাখছেন।তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার ও হুমকি-ধমকিও নাকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।এদিকে এই মাসের বেতন বা বাকি পরের মাসের বেতনও তারা পাবেন কিনা এই আশঙ্কায়ও থাকছেন সবাই। তবে এটাও ঠিক, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনও কোর্টের নির্দেশ পাবে ততদিন পর্যন্ত টিসিএর কেউই ব্যাঙ্কের কাজ করতে পারবে না। অর্থাৎ টাকা উঠাতে পারবে না। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত কর্মীদের মধ্যে ফের একবার আর্থিক অভাব অনটনের মুখে পড়ার অজানা ভয় ঢুকে পড়ছে। কয়েকবছর আগের ঘটনা এখনও কেউ ভুলতে পারছে না। আবারও সেই দুঃস্বপ্নের দিন তাদের দিকে ধেয়ে আসছে!এই দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে মাঠের কর্মীরা কাজ করলেও অফিস স্টাফদের কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা-ভয়ভীতি আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।বিভিন্ন মহলের মতে কিছু সংখ্যক সমাজদ্রোহী যাদের পেছনে রাজ্য সরকারের কতিপয় আধিকারিকের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেই টিসিএ অফিসে এসব বহিরাগত গুণ্ডাবাহিনীর দখলে চলে গেছে।এই অবস্থায় টিসিএর কর্মীরা তাই সংস্থায় গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা প্রশাসনিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইছেন।