টিসিএর অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে,এক গোষ্ঠীর অফিস দখল ঘিরে শঙ্কায় ক্রিকেট মহল।

 টিসিএর অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে,এক গোষ্ঠীর অফিস দখল ঘিরে শঙ্কায় ক্রিকেট মহল।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যের ক্রিকেট উন্নয়ন বা ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ কি হবে?এ সম্পর্কে আগরতলা থেকে সাব্রুম সর্বত্রই ক্রিকেটপ্রেমী জনগণ ও ক্রিকেট মহলের মুখে মুখে লাখ টাকার দামি এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। ক্রিকেটাররাও বুঝতে পারছে না কি হবে। এরমধ্যে রাজ্য ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার কর্তৃত্ব দখলের লক্ষ্যে শাসক দলের দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল অব্যাহতই রয়েছে। দুই পক্ষই নিজ নিজ পয়েন্ট ধরে বসে আছেন।এক অন্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অভিযোগ তুলছে।দুই গোষ্ঠীরই লক্ষ্য টিসিএ কর্তৃত্ব দখল।এক পক্ষ এ নিয়ে খুব শীঘ্রই আইনের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে। অন্য পক্ষ টিসিএর সদর দপ্তর দখল বা কব্জা করে বসে আছে।দুই গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ এই কোন্দলের শেষ পরিণতি কি হবে তার উত্তর কারোর কাছেই নেই।এর মধ্যেই একসূত্রে প্রকাশ, টিসিএ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা করছে অপর গোষ্ঠী।যদিও ২০ জুলাই যেদিন টিসিএ অফিসের সদর গেটের তালা ভাঙা হয়, সেদিন উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলাশাসক। তাছাড়া পশ্চিম জেলাশাসক নাকি টিসিএ অফিসের ভেতরের দুটি রুম খোলার জন্য বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে অনুমতিও দিয়েছিলেন।সেই মতো তারা সভাপতি ও যুগ্ম সচিবের রুমও খুলেন।কিন্তু গতকাল কোনও রকমের অনুমতি ছাড়াই আরও তিনটি রুমের তালা তারা খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, আরও তিনটি রুমের দরজা খেলার জন্য তারা কার কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে? টিসিএ অফিস ঘেরাও দখলকারীদের এ ধরনের কাজকর্ম বা ঘটনা শুনে ক্রিকেট মহলেও অজানা আতঙ্ক শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি দুই গোষ্ঠীর এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। গোষ্ঠী কোন্দল শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে রাজ্য ক্রিকেটের উন্নয়ন বা আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য রাজ্যদলগুলি প্রস্তুতি থেকে দলগঠন সব কিছুই ঝুলে থাকবে তা বলার অপেক্ষাও রাখে না।ক্রিকেট মহলের বক্তব্য জাতীয় ক্রিকেটের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে রাজ্যদলগুলির জন্য কোচ সহ সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে টিসিএর চুক্তি হয়েছিল। সেগুলির কি হবে?এই প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। তাছাড়া যারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তারাও নাকি দারুণ চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছেন। টিসিএর সঙ্গে চুক্তি করে খেলার জন্য অন্য রাজ্যে যাওয়ার পথও কঠিন। কারণ ইতিমধ্যে অনেক রাজ্যই তাদের কোচ নিয়োগের কাজ শেষ করে ফেলেছেন।গোষ্ঠী কোন্দলে ক্রিকেটীয় কাজকর্ম যে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সেই খবর তাদের কানেও পৌঁছে গেছে।এই অবস্থায় ক্রিকেটারদের মতো কোচরা আজানা আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছেন। সব মিলিয়ে টিসিএতে দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ কাজিয়ায় রাজ্য ক্রিকেট মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.