মূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফরমালিন ব্যবহার অভিযানে নামছে বিশেষ টিম : সুধাংশু।

 মূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফরমালিন ব্যবহার অভিযানে নামছে বিশেষ টিম : সুধাংশু।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- বাজারে মাছের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তর পৃথকভাবে বিশেষ একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করছে। শুধু বাজারে মাছের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতেই নয়, মৎস্য দপ্তরের সেই টিম বাজারে বিক্রি হওয়া মাছে অস্বাস্থ্যকর ও বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহার করার অভিযোগ নিয়েও মৎস্য দপ্তরের সেই টিম বাজারে বাজারে গিয়ে অভিযান ও তদন্ত করবে। বুধবার মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। তিনি জানান, আজ বুধবার মৎস্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বি এস মিশ্রকে (আইএফএস) এক চিঠি দেওয়া হয়েছে বাজারে মাছের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে বাজার অভিযান ও মূল্য যাচাইয়ে দপ্তরের আধিকারিক ও অফিসারদের নিয়ে একটি উপযুক্ত শক্তিশালী টিম গঠন করার জন্য। মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী শ্রীদাস জানান, মৎস্য দপ্তরের এই টিম মাছ তাজা রাখতে মাছে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠছে সে বিষয়েও বাজারে অভিযান ও তদন্ত করবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেবে। মন্ত্রী জানান, মৎস্য দপ্তরের যে টিম বাজারে বাজারে অভিযানে যাবে সেই টিমের আধিকারিক ও অফিসারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশও থাকবে। যাতে অভিযানকারী টিমের আধিকারিক ও অফিসাররা বাজারে গিয়ে অভিযান ও তদন্ত সঠিকভাবে করতে পারে সেই কারণেই টিমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুলিশ যাতে থাকে সেভাবে টিম গঠন করার জন্যও মৎস্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠিতে বলে দেওয়া হয়েছে বলেও মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান।তিনি আরও জানান, মাছে ফরমালিন ব্যবহার করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে মাছ বিক্রি করছে বলে সে ধরনের অভিযোগের একটি প্রশ্ন সদ্যসমাপ্ত বিধানসভার অধিবেশনে ও উঠেছিল। তাই ফরমালিন ইস্যুতে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলেও মৎস্য মন্ত্রী শ্রীদাস জানান বলেও মৎস্যমন্ত্রী শ্রীদাস জানান।এদিকে বুধবার খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সদর এনফোর্সমেন্ট টিম ও মাছ বাজারে অভিযান জারি রাখবে কিনা।তাতে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক জানান, এনফোর্সমেন্ট টিম মাছ বাজারে আর অভিযানে যাবে না। এনফোর্সমেন্ট টিম বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটজাত শুকনো খাদ্যসামগ্রী, ছোট প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, অবৈধভাবে খাবারের দোকানে ব্যবহৃত ডমেস্টিক গ্যাস সিলিণ্ডার, পরিমাপের ওজন যন্ত্র ইত্যাদির বিষয়ে বাজারে অভিযান জারি রাখবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাছের মূল্য যাচাইয়ে সদর এনফোর্সমেন্ট টিমের অফিসাররা বাজারে গিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। মাছ ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভও দেখান।এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই আগরতলাসহ রাজ্যের বাজারগুলিতে মাছের অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে ক্রেতাসাধারণ মাছ কিনতে গিয়ে প্রচণ্ড বিপাকে পড়ছেন। বাজারগুলিতে মাছের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাসাধারণের নাভিশ্বাস অবস্থা।গরিব অংশের মানুষ বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে অস্বাভাবিক চড়া মূল্যের কারণে মাছ কিনতে আরও হিমশিম খাচ্ছেন। অভিযোগ, একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে মর্জিমাফিক মূল্যবৃদ্ধি করে মাছ বিক্রি করছেন। তাতে বাজারে অস্বাভাবিক মাছের মূল্য দাঁড়িয়ে থাকছে। রাজ্যে মাছের নিজস্ব জোগান কম বলে বহি:রাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে মাছ আসায় মাছের মূল্য বেশি পড়ছে বলে অভিযোগ খাড়া করে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছের যথেচ্ছ মূল্যবৃদ্ধি করছে বলেও বহুদিন ধরেই ক্রেতাসাধারণ ও বিভিন্ন মহল এই অভিযোগ আনছেন। বাজারে মাছের পাইকারি মূল্য ও খুচরো মূল্যের মধ্যেও বিস্তর ফারাক ও অসামঞ্জস্যতা থাকছে। অস্বাস্থ্যকর ও বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহৃত মাছ খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ। এদিকে মাছে ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর, ফুড সেফটি বিভাগ ও আগরতলা পুর নিগমকেও প্রয়োজনীয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাজার অভিযানে নামতে হবে বলেও ক্রেতাসাধারণের দাবি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.