কলকাতা দেখল এবছরের প্রথম ‘সুপারমুন’।
কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ঘূর্ণিঝড়। মেঘ না থাকলে ‘সুপারমুন’-এর দর্শন করতে পারবেন কলকাতা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ এবং তার প্রতিবেশি রাজ্যের বাসিন্দারা। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় সন্ধ্যায় বিশালাকৃতির সেই চাঁদ দেখা যাবে।এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা বিড়লা তারামণ্ডলের প্রাক্তন অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি। এর ঠিক একমাস পরে অর্থাৎ আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ আবারও এই সুপারমুন দেখা যাবে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ণিমার চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে।সাধারণ সময়ের থেকে অনেক বড় দেখায় চাঁদকে। সেই অবস্থাকে ‘সুপারমুন’ বলা হয়।
শেষবার ২০১৮ সালে এই আগস্ট মাসেই সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। ৩০ আগস্ট ফের এই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারবে পূর্ব ভারতের রাজ্যবাসী।সেদিন চাঁদের আকৃতি আরও বড় দেখাবে। ২০৩৭ সালে আবারও এই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন ভারতের পূর্বপ্রান্তের মানুষরা। এর সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ এর অভিযানের এক অদ্ভুত রকমের যোগ তৈরি হয়েছে বলে জানান দেবীপ্রসাদ দুয়ারি। নি বলেন, ‘চন্দ্রযান ৩-কে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করার সময়ই সুপারমুনের পরিস্থিতি তৈরি হবে।’উল্লেখ্য, আগামী ২৩ থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। দেবীপ্রসাদ দুয়ারি আরও জানিয়েছেন, সুপারমুনে চাঁদকে সাধারণ সময়ের থেকে সাত শতাংশ বড় দেখায়। চাঁদের শুভ্র ছটা ১৬ শতাংশ বেশি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৭ মিনিটে কলকাতার আকাশে চাঁদের দেখা পাওয়া গিয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে চাঁদ সূর্যের ১০০শতাংশ আলোয় আলোকিত হবে।সেই সময় পৃথিবীর বুকে চাঁদের ছটা সবচেয়ে বেশি পৌঁছাবে।
আজকের সুপারমুনের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব থাকবে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার।আর ৩০ আগস্টের সুপারমুনে সেই দূরত্ব আরও কমে হবে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৪৪ কিলোমিটার।