বাজারে আসছে স্মার্ট পিস্তল, চলবে শুধু মালিকের মর্জিতে।

 বাজারে আসছে স্মার্ট পিস্তল, চলবে শুধু মালিকের মর্জিতে।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

পিস্তলের দুনিয়ায় যুগান্তকারী আবিষ্কার। স্মার্ট ফোন, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ঘড়ির পর এ বার বাজারে আসতে চলেছে স্মার্ট পিস্তল! কেন স্মার্ট? কারণ, এই পিস্তলের মালিক ছাড়া অন্য কেউ এই আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলী ছুড়তে পারবেন না। স্মার্ট পিস্তল কাজ করবে শুধুমাত্র মালিকের আঙুলের ছাপ তথা ফিঙ্গারপ্রিন্টে। আমেরিকার কলোরাডোর একটি সংস্থার হাত ধরে স্মার্ট পিস্তল বাজারে এসেছে। নির্মাতা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী এক্সমাসের মরসুমে স্মার্ট পিস্তল বাজারে পা রাখবে। যদিও এই পিস্তলের দামদর কত হবে, কিছু জানানো হয়নি। তবে বন্দুকপ্রেমীদের মধ্যে স্মার্ট পিস্তল নিয়ে বিস্তর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, স্মার্ট পিস্তলের দাম হতে পারে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। কলোরাডোর ওই বন্দুক নির্মাতা সংস্থাটি ২০১৪ সালে পথচলা শুরু করে। কয়েকশো কোটির তহবিল সংগ্রহ করে ওই বছর থেকেই তারা স্মার্ট বন্দুক তৈরির কাজে হাত লাগায় । ওই সংস্থা বৃহস্পতিবার জানায়, তারা বিশ্বের প্রথম বায়োমেট্রিক স্মার্ট বন্দুক তৈরি করে ফেলেছে। এই বন্দুকে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলকিং সিস্টেম’ রয়েছে।এই প্রযুক্তি বন্দুকজনিত অপরাধের সংখ্যা কমাবে বলে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কাই ক্লোইফফার জানান, ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ স্মার্ট পিস্তল হাতে পাওয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং শুরু করেছেন। যদিও তার মধ্যে আমেরিকার বাসিন্দাদের সংখ্যাই বেশি। অগ্রিম বুক করা যাচ্ছে মাত্র ১৩ হাজার টাকা দিয়ে। কাই
ক্লোইফফার জানান, বায়োফায়ারের ৯ এমএম বোরের এই স্মার্ট পিস্তলটি একমাত্র তখনই কাজ করবে, যখন সেটি তার মালিককে ‘চিনতে’ পারে। অর্থাৎ, মালিকের আঙুলের ছাপের সাহায্যেই একমাত্র বন্দুকটির ‘লক’ খোলা যাবে।যেমনটা হয় স্মার্ট ফোনের ‘লক’ খোলার ক্ষেত্রে। তিনি জানিয়েছেন, পিস্তলের পিছনে একটি ক্যামেরাও লাগানো থাকবে। সেই ক্যামেরা মালিকের মুখ চিনতে পারলেও বন্দুকের লক নিজে থেকে খুলে যাবে। কাই ক্লোইফফারের কথায়, ,‘আমাদের ৯ এমএম স্মার্ট বন্দুকটি হাত থেকে নামালেই সেটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে লক হয়ে যায়। মালিকের অনুমতি ছাড়া সেই বন্দুক থেকে অন্য কেউ গুলী চালাতে পারবেন না। ওই আগ্নেয়াস্ত্র ভুল করে কখনও কোনও শিশু বা অপরাধীর হাতে পড়লেও ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’ কলোরাডোর এই সংস্থাটি আগে কৃত্রিম উপগ্রহের যন্ত্রাংশ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার যন্ত্র, সুপারসনিক জেট তৈরি করেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.