চন্দ্রযানে চন্দ্রালোক।

 চন্দ্রযানে চন্দ্রালোক।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দূর থেকে হলেও চাঁদের সঙ্গে প্রথম ‘সাক্ষাৎ’ সেরে ফেলেছে চন্দ্রযান-৩। আর দেখার সঙ্গে সঙ্গেই চাঁদের প্রথম ছবি প্রকাশ করল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো থেকে ভিডিওটিতে চাঁদে নীল-সবুজ রঙে অনেকগুলি গর্ত দেখা গিয়েছে রবিবার গভীর রাতে চাঁদের দ্বিতীয় অক্ষে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-৪ সেই সময়ের ভিডিও প্রকাশ করল ইসরো। শ্রীহরিকোটার লঞ্চপ্যাড থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ হয়েছে ২৪ দিন হতে চলল। এবার চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গেল চন্দ্রযান। গত বৃহস্পতিবার পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের নাগপাশ কাটিয়ে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর মহাকাশযান।
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ চাঁদের পিঠে নামার কয়েক মুহূর্ত আগে ছিটকে বেরিয়ে যায়। এবার আর যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কোনওরকম ফাঁকফোকড় রাখতে চাইছেন না তারা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বেঙ্গালুরুর টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্কের সাহায্যে জটিল প্রক্রিয়ায় চন্দ্রযান মডিউলকে চাঁদের কক্ষপথে বসানো হয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় এই প্রক্রিয়ার নাম ‘লুনার অরবিট ইনসারশন’। এরফলে চাঁদের অভিকর্ষজ বলের আওতায় চলে এসছে চন্দ্রযান-৩। প্রথমে উপবৃত্তাকারে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে চন্দ্রযান। এভাবে কয়েকবার প্রদক্ষিণ করতে করতে ক্রমশ চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছে যাবে। দূরত্ব যখন ১০০ কিলোমিটার হবে সে সময় কক্ষপথে আর উপবৃত্তাকার থাকবে না, বৃওাকার হয়ে যাবে। অবশেষে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে করবে চন্দ্রযান-৩।চাঁদের থেকে চন্দ্রযানের বর্তমান দূরত্ব ৪,৩১৩ কিলোমিটার। ১৭অগাস্টের আগে ১০০ কিলোমিটার গোল কক্ষপথে পৌঁছনোই এখন লক্ষ্য চন্দ্রযান-৩-এর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। এর আগে ভারতের কোনও মহাকাশযান চন্দ্ৰপৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারেনি। চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হলে চাঁদের পৃষ্ঠে মহাকাশযান পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ দেশ হবে। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে তকমা পাবে প্রথম হওয়ার। এর আগে কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশযান তার গতিপথকে আরও সামঞ্জস্য করতে এবং চাঁদের পৃষ্ঠের কাছাকাছি যেতে আগামী কয়েক দিন চাঁদকে ক্রমাগত প্রদক্ষিণ করতে থাকবে। অর্থাৎ চাঁদের পৃষ্ঠের উপরে ১০০ কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথে এটি ভ্রমণ করবে। কারণ হিসাবে ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্ৰপৃষ্ঠ স্পর্শ করার আগে নিজেকে গুছিয়ে নিতেই এই ভ্রমণ। যাতে সঠিক অবতরণ নিশ্চিত করা যায়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.